প্রতিবেদন: উত্তরাখণ্ড বনাঞ্চলে বিধ্বংসী আগুন নিয়ন্ত্রণে গেরুয়া রাজ্য সরকারের ভূমিকায় গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Wildfires- Supreme Court)। দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বুধবার রাজ্যের জবাবদিহি তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী ১৭ মে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে এর কারণ। বনদফতরের যাবতীয় খরচের হিসেব এবং শূন্যপদের সংখ্যাও জানাতে হবে আদালতে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, নির্বাচন বা চারধাম যাত্রার মতো কারণ দেখিয়ে বনদফতরের কোনও গাড়ি বা কর্মীকে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য। বিচারপতি ভি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন- পাহাড়ি সিকিমে যান-নিয়ন্ত্রণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
বিজেপি পরিচালিত উত্তরাখণ্ড সরকারের তীব্র নিন্দা করে সুপ্রিম কোর্ট (Wildfires- Supreme Court) বুধবার বলেছে, অরণ্যে দাবানল নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি অপ্রতুল ছিল, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কর্ম পরিকল্পনা তৈরি এবং চূড়ান্ত করা হলেও, তা বাস্তবায়নের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে কেন কেন্দ্রীয় তহবিলগুলি আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা হয়নি ? এই গ্রীষ্মে পার্বত্য রাজ্যে যে দাবানল লেগেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
লক্ষণীয়, ৯ মে উত্তরপ্রদেশ বনরক্ষী বাহিনীর প্রধান ধনঞ্জয় মোহন বলেছিলেন যে, বনের দাবানলে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১,৩০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জঙ্গলে আগুন পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে যথাসময়ে পৌঁছে যাচ্ছে বন দফতরের কর্মীরা। এখনও অবধি ৩৮৮টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বনের আগুন সম্পর্কিত অভিযোগে। কিন্তু পুরো ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে শীর্ষ আদালত।