লখনউ, ১৯ মে : প্লে-অফের দৌড় থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ছিটকে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (surisers hyderabad)। সোমবার হায়দরাবাদের কাছে ৬ উইকেটে হারের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ চারে থাকার স্বপ্ন শেষ ঋষভ পন্থদের। ফলে প্লে-অফের দৌড় এখন সীমাবদ্ধ রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। এদিনের হারের পর লখনউয়ে পয়েন্ট আটকে রইল দশে। শেষ দুটো ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্টে পৌঁছবেন পন্থরা। যা প্রথম চারে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়।
প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার জন্য ম্যাচটা জিততেই হত লখনউকে। অন্যদিকে, অনেক আগেই প্রথম চারের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হায়দরাবাদের কাছে এই ম্যাচটা ছিল সম্মানরক্ষার লড়াই। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ঝড়ের গতিতে করেছিলেন লখনউয়ের দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করাম। হায়দরাবাদের (surisers hyderabad) বোলারদের উপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন দু’জনে। বেশি আগ্রাসী ছিলেন মার্শ। মাত্র ৩০ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। মাত্র ৯ ওভারেই স্কোরবোর্ডে একশো রান উঠে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের টোল ট্যাক্স নিয়ে তীব্র অসন্তোষ মুখ্যমন্ত্রীর
এই জুটি ভাঙেন হর্ষ দুবে। ৩৯ বলে ৬৫ রান করে হর্ষের শিকার হন মার্শ। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে হতাশ করলেন ঋষভ পন্থ। মাত্র ৭ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এবারের আইপিএল সত্যিই দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে মেগা নিলামে ২৭ কোটি দর পাওয়া পন্থের। ততক্ষণে অবশ্য ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন মার্করাম। পন্থ আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে চালিয়ে খেলেছেন নিকোলাস পুরানও। যদিও ৩৮ বলে ৬১ করে হর্ষল প্যাটেলের ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড হন মার্করাম। আয়ুষ বাদোনিও (৩) বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। অন্যপ্রান্তে ঘনঘন উইকেট পড়লেও, মেজাজে ব্যাট করে গিয়েছেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪৫ রান করে তিনি শেষ ওভারে রান আউট হন। ততক্ষণে অবশ্য স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো রান তুলে ফেলেছিল লখনউ।
রান তাড়া করতে নেমে, ব্যাটে ঝড় তোলেন হায়দরাবাদের ওপেনার অভিষেক শর্মা। সঙ্গী অথর্ব তাইডে (১৩) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও, অভিষেক মাত্র ২০ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন ঈশান কিশান। ঈশানের অবদান ২৮ বলে ৩৫। দু’জনের পার্টনারশিপে মাত্র ৩৫ বলে ৮২ রান উঠেছিল। যা দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। আর সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বাকি কাজ সারেন হেনরিখ ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস। ২৮ বলে ৪৭ করে ক্লাসেন যখন আউট হলেন, তখন জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে হায়দরাবাদ। হাতে রয়েছে ১৫ বল। মেন্ডিস আবার ২১ বলে ৩২ রান করে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাঠ ছাড়েন। যদিও তাতেও ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।