প্রতিবেদন : মানুষের মাথায় বসল রোবট। প্রথমবার কৃত্রিম মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনের পর ফলাফল আশাপ্রদ বলে দাবি করেছেন নিউরালিঙ্কের কর্ণধার ইলন মাস্ক। এই প্রক্রিয়া সফল হলে এবার হাত-পা চালাতে অক্ষম ব্যক্তিও মস্তিষ্ক চালিয়ে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। বৈজ্ঞানিক সাফল্যের অভূতপূর্ব সম্ভাবনায় উচ্ছ্বসিত বিলিয়নিয়ার উদ্যোগপতি ইলন মাস্ক।
আরও পড়ুন-বিপাকে ইমরান, ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত
ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক এমন একটি প্রযুক্তি বাজারে আনার দাবি করেছিল যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করলে মস্তিষ্কের এমন একটি ভাগকে তা নিয়ন্ত্রণ করবে যা দিয়ে হাত-পা বা অন্যান্য অঙ্গ নাড়ানোর কাজ করে থাকে মানুষ। এর ফলে মাথায় স্রেফ এ ধরনের কোনও কিছু চিন্তা হলেই কম্পিউটারের কার্সার বা কিবোর্ডে সেই কাজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সেপ্টেম্বরে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন এই অস্ত্রোপচারে সম্মতি দেয়। সেইমতো রবিবার প্রথমবার মানুষের মস্তিষ্কে এই অস্ত্রোপচার করে কৃত্রিম মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন-কিমের পর উত্তর কোরিয়ার রাশ কি কন্যার হাতে? একাধিক ছবি ঘিরে জল্পনা
মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সফল অস্ত্রোপচারের বিষয়টি। অস্ত্রোপচারের পরে সেই ব্যক্তি সুস্থ হচ্ছেন এবং তাঁর মধ্যে নিউরনের সঞ্চালন আশাপ্রদ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এরপরই মাস্ক উল্লেখ করেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের প্রসঙ্গ। যিনি দীর্ঘদিন হুইলচেয়ারে কাটিয়েছিলেন। তিনি যদি এই প্রযুক্তির সুবিধা পেতেন তাহলে একজন টাইপিস্টের থেকেও দ্রুত কাজ করতে পারতেন। সেটাই তাঁর লক্ষ্য বলে মাস্ক উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন-সর্বদল বৈঠকেও বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব তৃণমূল
নিউরালিঙ্কের এই প্রযুক্তির নামও দিয়ে ফেলেছেন মাস্ক। ‘টেলিপ্যাথি’ নামে এই ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের আবিষ্কার ও সফল প্রয়োগ নিঃসন্দেহে বিশ্বের যুগান্তকারী এক আবিষ্কার হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। নিউরালিঙ্কের প্রথম উদ্দেশ্য নিরাপদে এই রোবটকে মানুষের মস্তিষ্কে প্রয়োগ। সেই প্রক্রিয়া সফল হলে বিজ্ঞানের অগ্রগতির এক অসাধারণ নমুনা দেখবে বিশ্ব।