সুরক্ষার নামে নজরদারি? বিরোধিতা করবে তৃণমূল

এবার থেকে লুকিয়ে চুরিয়ে নজরদারি নয়, বরং রীতিমতো সংসদে আইন করে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যভাণ্ডারে ঢুঁ মারতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।

Must read

নয়াদিল্লি : এবার থেকে লুকিয়ে চুরিয়ে নজরদারি নয়, বরং রীতিমতো সংসদে আইন করে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যভাণ্ডারে ঢুঁ মারতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কার্যত এই লক্ষ্যেই সংসদে আনা হচ্ছে পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন বিল। ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার কথা বলে আদতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসরে নজরদারি করাই সরকারের উদ্দেশ্য বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-Sayoni Ghosh: ‘ত্রিপুরা বিজেপি মনে করে তারা আইনশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে’ টুইটারে সরব সায়নী

ইতিমধ্যে বিলের খসড়া চুড়ান্ত। কিন্তু প্রস্তাবিত বিল বাস্তবায়িত হলে দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্য কতটা সুরক্ষিত থাকবে, প্রশ্ন সেখানেই। কারণ, জানা গিয়েছে এই আইন এনে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেরাই জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর নজরদারি চালাতে পারবে। আর এর মাধ্যমে সরকারি এজেন্সিগুলির কাছে অবাধে চলে যাবে দেশবাসীর ব্যক্তিগত, গোপন তথ্য। আইনি তকমা থাকলে কেন্দ্রকে এই কাজে নিয়ন্ত্রণ করারও কেউ থাকবে না।

আরও পড়ুন-Volvo Bus: রাতে চালু হল ভলভো বাস

সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার বিষয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সাল থেকেই প্রস্তাবিত আইনের খসড়া নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা চলছে। সেই খসড়াই চূড়ান্ত হয়ে জমা পড়তে চলেছে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রস্তাবিত বিলের ধারাগুলি নিয়ে। তা সামনে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিরোধীদের।

আরও পড়ুন-Presidency University: ডিনের প্রতি আস্থা ছাত্রদের

মূলত দুটি ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূলের দাবি, দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার রক্ষাকবচ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে ছাড় দেওয়া চলবে না। পাশাপাশি তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত যে নিয়ন্ত্রক পরিষদ গঠিত হবে সেখানে রাজ্য সরকারগুলির অধিকার খর্ব করা যাবে না।

Latest article