প্রতিবেদন : গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগরে স্নান পর্ব সেরে ফিরতে পারেন তার জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে হেলথ চেকআপ ক্যাম্প। মেলা উপলক্ষে চালানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ভিন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক ও পূণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে যাতে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হন তার জন্য রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন আউট্রাম ঘাটে বেশ কিছু বিশ্রাম শিবির তৈরি করা হয়েছে সাধু সন্ন্যাসীদের জন্য। সেখানে বিশেষ সুবিধা পানীয় জল, চিকিৎসার জন্য বুথ এবং সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নবনীতার নারী-ভাবনা
সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে গোটা চত্বরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে। যাতে সাধু সন্ন্যাসীদের কোনভাবেই অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়। সেই সাথে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী।
ফায়ার ব্রিগেডেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সমগ্র গঙ্গাসাগর মেলাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলতে গঙ্গাসাগরে মেগা কন্ট্রোল রুমের সূচনা করা হয়েছে। এই মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার কটা দিন প্রায় ১২০০ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলার প্রতিটি পয়েন্টে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হবে। সাধু সন্ন্যাসীরা স্নান করার সময় গঙ্গাসাগর সমুদ্রতটে স্পিডবোট নিয়ে কোস্টাল গার্ডের রক্ষীরা বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। হেলিকপ্টারে নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে গঙ্গাসাগর উপকূল এলাকায়। বাংলাদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূল-সহ গঙ্গাসাগরের বিস্তৃত এলাকায়।