সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : রিহ্যাব নয়, বাড়ির পরিবেশেই নেশামুক্তি। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এমন প্রকল্প। নাম নবজীবন। আপাতত ১০ জন আবাসিক থাকবেন এই সেন্টারে। একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেয়ে দেওয়া হবে তাঁদের। এছাড়াও শিলিগুড়ির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ‘নজরদারি’ নামে আরও একটি প্রকল্প তৈরি হয়েছে। শুক্রবার প্রকল্প দুটির উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। ছিলেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পূর্ব জয় টুডু, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক পূর্ণিমা শেরপা, এসিপি ডিডি রাজেন ছেত্রী, আইসি শিলিগুড়ি সুদীপ চক্রবর্তী। দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘সমাজকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। শিলিগুড়ি পুলিশ শহরের নিরাপত্তায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। ১৪০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। প্রচুর মাদক পাচারকারী গ্রেফতার হয়েছে।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের উপেক্ষা কাটোয়ার সারমেয় গবেষককে
এরই পাশাপাশি অসহায় পরিবারগুলির কাছে আমাদের কাছে ফোন আসত মাদকাসক্তদের পরিবারের। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, রিহ্যাব সেন্টারে তাঁরা পাঠাতে চাইছেন না। কারোর বয়স ১৪-১৫ কেউ আবার ষাটোর্ধ্ব। আমরা তখন থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে এগোনোর কথা ভাবি। ‘নবজীবন’ প্রকল্পটি তৈরি হয়। নেশামুক্ত সমাজ গড়তে স্কুলভিক্তিক ক্যাম্প চালাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুজোর আগেই পোশাক পড়ুয়াদের
পুলিশ দিবস উপলক্ষে আমরা কিছু সংকল্প নিয়েছি। সেই কারণেই এই দুই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল এখন। পাশাপাশি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্পে নজরদারিতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে ১০ মাস আগে চালু হয়। এই প্রকল্পের জন্য ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার উদ্বোধন করা হয় এদিন। দ্রুত অপরাধের নিষ্পত্তি করতেই এতগুলি সিসিটিভি ক্যামেরা শহরে বলে জানান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার।