প্রতিবেদন : শেষ দশ বছরে দেশের ৭১ জন সাংসদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ গড়ে প্রায় ২৮৬ শতাংশ বেড়েছে। এই সাংসদের মধ্যে বেশিরভাগই একদল থেকে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। কয়েকজন আবার বরাবরই একই দলে রয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনটি লোকসভা ভোটে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-আদানি ইস্যুতে এসবিআই সদর দফতরে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের
নির্বাচনী সমীক্ষক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে এসেছে। এডিআর-এর পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি বেড়েছে কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ রমেশ চন্দ্রাপ্পা জিগাজিনাগির। ২০০৯ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৯৪ লক্ষ। ২০১৯ সালে সেটাই লাফিয়ে বেড়ে হয় ৫০ কোটি ৪১ লক্ষ। ২০১৬ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন রমেশ। দ্বিতীয় স্থানে আছেন কর্নাটকেরই বিজেপি সাংসদ পি সি মোহন। ২০০৯ সালে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের এই বিজেপি সাংসদ ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ৫৫ লক্ষে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। ২০০৯ সালে বরুণের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ২০১৯ সালে যা বেড়ে হয়েছে ৬০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক মিছিল
তবে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন বিরোধী দলের তিন সাংসদ, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, শিরোমণি অকালি দলের হরসিমরত কউর, এবং বিজেডির পিনাকি মিশ্র। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডার সাংসদ হরসিমরতের ২০০৯ সালে সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালে যা বেড়ে হয় ২১৭ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্রের বারামতির সাংসদ সুপ্রিয়ার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালে যা বেড়ে হয় ১৪০ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। ২০০৯ সালে ওড়িশার পুরীর সাংসদ পিনাকির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে যা বেড়ে হয়েছে ১১৭ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা।