নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানেই দৌড়ে পিছিয়ে গেলেন সুশীলা, তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে কে?

নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে এবার অন্য নাম, কুল মান ঘিসিং।

Must read

নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে এবার অন্য নাম, কুল মান ঘিসিং। প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ঘিসিং নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরুক, গণবিক্ষোভে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারকে সরানো আন্দোলনকারীরা এমনটাই দাবি করছে। নেপালে বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি দূর করার পেছনে অনেকটাই অবদান রয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সালে ঘিসিং দেশের বিদ্যুৎ বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন। নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সে সময় মারাত্মক বিদ্যুৎবিভ্রাটে ভুগছিল নেপাল। দিনে ১৮ ঘণ্টাও লোডশেডিং অবিশ্বাস্য কিছু ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বোর্ডের হাল ধরেছিলেন ঘিসিং। সহজেই মিটিয়ে দিয়েছিলেন দেশের বিদ্যুৎসঙ্কট। এবার সেই ঘিসিংকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য চাইল ‘জেন-জ়ি’। বৃহস্পতিবার এই দাবি সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তাঁরা। তাঁকে ‘দেশপ্রেমিক’ এবং জনপ্রিয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ধাপার পাশে তৈরি হচ্ছে নতুন ‘স্মার্ট ভাগাড়’

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছে নেপালে। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছিল তরুণরা। দেশটির অন্তবর্তী সরকার প্রধান কে হবেন এই নিয়ে আগে একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যোগ দেয় প্রায় ৫ হাজার মানুষ। প্রাথমিকভাবে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি বলেই জানানো হয়। সেক্ষেত্রে অন্যদের নাম আলোচনায় এলে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন সুশিলা কার্কি। তাঁর কাছে এর আগে ওই প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি কমপক্ষে ১ হাজার লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গিয়েছিল বাস্তবে তিনি ২ হাজার ৫০০ জনের স্বাক্ষর পেয়েছেন। কার্কি সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেলেও ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অন্যদের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং, যুব নেতা সাগর ধাকাল ও ধারানের মেয়র হারকা সামপাঙ অন্যতম।

আরও পড়ুন-নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানেই দৌড়ে এগিয়ে সুশীলা?

প্রসঙ্গত, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুরে কার্ফু কিছুটা হলেও শিথিল করেছে সেনা। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত জরুরি কাজের জন্য সাধারণ মানুষ বাইরে বেরোতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে । বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও এই ছাড় থাকবে। এই ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেপালের দোকানবাজারগুলিতে সাধারণ মানুষের সমাগম নজরে পড়ার মত ছিল। বৃহস্পতিবার কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটাই শান্ত রয়েছে নেপাল। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা।

Latest article