প্রতিবেদন : শহরের প্রাণকেন্দ্রে জোড়া খুন৷ গড়িয়াহাটের এক বাড়ি থেকে মিলল দুটি মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের একটি দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গৃহস্বামী এবং তাঁর গাড়ির চালকের গলাকাটা মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল, ৭৮ এ, কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে পৌঁছে যান লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা। দেহ দুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুবীর চাকী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির নিচের তলার ঘর থেকে।
আরও পড়ুন-শহরে উদ্ধার খুলি-সহ চিতার ছাল
অন্যদিকে, উপরের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের দেহ। প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয় তাঁদের৷ জানা গিয়েছে, মৃত সুবীর চাকী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিউটাউনে থাকতেন। সুবীর চাকী দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কাঁকুলিয়া রোডের এই বাড়িটি বিক্রি করার চেষ্টায় ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রবিবার তিনি ও তাঁর গাড়ির চালক গড়িয়াহাটের এই বাড়িতে আসেন। বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কিছু কথা বলার জন্য একাধিক ব্যক্তিও ওই সময় গড়িয়াহাটের বাড়িতে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। রাত হয়ে গেলেও তাঁদের খোঁজ না মেলায় খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট থানায়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলতেই গলা কাটা অবস্থায় সুবীর চাকীর দেহ নিচের ঘরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গাড়ির চালকের গলা কাটা দেহ পড়ে ছিল উপরের ঘরে। পুলিশ এসে একতলা ও দোতলা থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। দেহ দুটির ঘাড়, কবজি, পায়ে গভীর ক্ষত ছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রের। রাতেই পুলিশ কুকুর দিয়ে গোটা বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। মৃতের এক আত্মীয় গড়িয়াহাট এলাকায় থাকেন। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ঘর থেকে বাড়ির কোনও দলিল বা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়নি।