কোর্টে খারিজ সাসপেনশন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ৫ পড়ুয়াও ক্লাস করবেন

এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ ছাত্রকে থ্রেট কালচারের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার ও সাসপেনশন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।

Must read

প্রতিবেদন : এর আগে দক্ষিণবঙ্গের ৫২ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছিল গা-জোয়ারি সাসপেনশনের জেরে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সেই পড়ুয়ারা এখন ক্লাস করতে পারছেন। এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ ছাত্রকে থ্রেট কালচারের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার ও সাসপেনশন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বার্তা, ওই পড়ুয়াদের কোনওভাবেই সাসপেন্ড করা যাবে না। পাঁচ ছাত্রকে ক্লাস করার এবং পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। বুধবার থেকেই তাঁরা ক্লাস করতে পারবেন বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়করা

বিচারপতির আরও নির্দেশ, ক্লাস করা এবং পরীক্ষায় বসা ছাড়া আর কোনও কাজের জন্য কলেজে যাবেন না পাঁচ ছাত্র। পড়ুয়াদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ওই পড়ুয়াদের থ্রেট করে, জোরজবরদস্তি বেআইনিভাবে সাসপেন্ড করেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলও তা মেনে নিয়েছিল। এরাই থ্রেট কালচার নিয়ে আসছে। এই থ্রেট কালচার সিপিএমের আঁতুড়ঘরে জন্ম। কল্যাণের সংযোজন, ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কীভাবে শুধুমাত্র অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরীক্ষায় বসা আটকাতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষ? এতে ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ওই ছাত্রদের অভিযোগ, অ্যান্টি র্যা গিং কমিটির মতামত না নিয়েই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও জানান তাঁরা। এই পড়ুয়াদের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কলেজ কাউন্সিলের নেই। এটা করতে পারে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। আন্দোলনকারীদের থ্রেটের মুখে পড়ে ওই ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এটা কি থ্রেট কালচার নয়? এদিন শুনানিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ও রাহুল মিশ্র।

Latest article