প্রতিবেদন : সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে আরজি করের ৫৯ জনের সাসপেনশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সাসপেনশনেই স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, এই সাসপেনশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। আরজি করের তরফে দেওয়া সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর হবে না। পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। অর্থাৎ বল রইল রাজ্যের কোর্টেই। নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে সাসপেনশন নিয়ে কথা উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান, প্রশাসনকে না জানিয়ে কেন সাসপেন্ড করলেন? কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালেন না কেন? এরপরই চিকিৎসকেরা নিজেদের একগুঁয়েমি মনোভাব প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ইচ্ছেমতো যে কাউকে সাসপেন্ড করা যায় না। কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হলে, তদন্ত না করে সাসপেন্ড করা যায় না। সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের আইনজীবী আদালতে বলেন, সঙ্গত কারণ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপরেই এদিন আদালত ওই ৫৯ জনের সাসপেনশনের আর্জি খারিজ করে দেয়। মঙ্গলবার হাইকোর্ট (Calcutta High Court) মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকেই কার্যত সিলমোহর দিল। অপরদিকে এদিন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করায় পুলিশ হস্টেলে ঢুকতে দিচ্ছে না— এই অভিযোগ তুলে ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি করের ৩১ জন জুনিয়র ডাক্তার। সে-মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- বিজয়া সম্মিলনীকে বিজয় সম্মিলনীতে পরিণত করার ডাক পূর্ব মেদিনীপুরে