প্রতিবেদন : একই দিনে সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টের শুনানির দিকে নজর ছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। বুধবার দুপুরে সর্বোচ্চ আদালতে ফেডারেশনের সংবিধান সংশোধনী নিয়ে শুনানি শুরুর আগেই জোর ধাক্কা নেমে আসে। রঞ্জিৎ বাজাজের দায়ের করা মামলায় ফেডারেশন সচিব পদে অনিল কুমারের নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। সাজি প্রভাকরণকে সরিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অনিলকে সচিব পদে নিয়ে এসেছিলেন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। আদালত অনিলের নিয়োগকে মান্যতা দেয়নি। তাঁকে এদিন সরিয়ে দেয় আদালত। অন্তর্বর্তী সচিব হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এম সত্যনারায়ন। দিল্লি হাইকোর্টের এদিনের রায়ের পর কল্যাণের বিদায়ের পথও ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন-রুখা জেলার তকমা মুছতে বৃষ্টির জল ধরে রাখায় জোর পুরুলিয়া প্রশাসনের
ফেডারেশন সভাপতি তাঁর অজস্র দুর্নীতির মতোই সচিব পদে অনিল কুমারকে পিছনের দরজা দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। সংস্থার সংবিধান বলছে, সচিব পদের দায়িত্বে থাকেন যেহেতু বেতনভূক কর্মচারী, তাই তাঁকে সরাসরি নিয়োগ করা যায় না। সচিব পদে নতুন কাউকে আনতে হলে আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হয়। তারপর আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে কার্যকরী কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে একজনকে বেছে নিয়ে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়াই নিয়ম। সেটা অনিলের ক্ষেত্রে হয়নি। উল্টে তাঁর বেতনও দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। দিল্লি হাইকোর্ট এই বেআইনি নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে। সাজিকে সরানোর প্রক্রিয়ায় যে গলদ ছিল, সেটাও মেনে নিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন-বিখ্যাত হতে গিয়ে বিড়ম্বনায় ভাইরাল খাট-গাড়ির মালিক
পরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পিএস নরসিমা ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ ফেডারেশনের নতুন সংবিধান নিয়ে মামলায় বক্তব্য শোনে। এদিন এআইএফএফ এবং রাজ্য সংস্থার বক্তব্য শোনা হয়। পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে সংবিধান সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারে সর্বোচ্চ আদালত।