প্রতিবেদন : অখিল গিরিকে আক্রমণ করতে গিয়ে চতুর্দিকে আক্রমণের মুখে বিরোধী দলনেতা। সংবাদমাধ্যমে বড় বড় নীতিজ্ঞান ছড়াতে গিয়ে নিজের ছড়িয়ে রাখা ‘মণি-মানিক্য’কে জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন পেগাসাস অধিকারী। অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, এই মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। দল নিন্দা করছে। খোদ অখিলও বলেছেন, ভুলবশত বলে ফেলেছি। কিন্তু উদ্ধত এবং ‘মানসিক অসুস্থ’ বিরোধী দলনেতা (Suvndu Adhikari- Birbaha Hansda) কিংবা তাঁর দলের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে যে মন্তব্য করে এসেছেন, তার জবাব কে দেবে? সোশ্যাল মিডিয়া-সহ সব জায়গাতেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন মানবাধিকার কমিশন চুপ? কেন বিজেপিই বা কিছু বলছে না? তার অর্থ তো সমর্থন করা। বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvndu Adhikari- Birbaha Hansda) ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ লুকোনোর পথ পাচ্ছে না অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড। বীরবাহাকে নিয়ে কী বলেছেন লোডশেডিং অধিকারী? প্রকাশ্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলছেন, ‘এগুলো শিশু। এই দেবনারায়ণ হাঁসদা। এই বীরবাহা হাঁসদা। যেগুলো বসে আছে সব শিশু। আমার জুতার তলায় থাকে।’ বলেই নিজের জুতো দেখালেন। যারা অখিলের মন্তব্যের নিন্দা করছেন তারা বোধহয় দলের পরিষদীয় দলনেতার ভিডিওটি শুনতে পাচ্ছেন না। তৃণমূল যদি একটার পর একটা এমন ভিডিও সামনে আনে বিজেপি মুখ রক্ষ করতে পারবে তো?
সংবাদমাধ্যমের মন্তব্য পছন্দ না হলেই সেই সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কাঁথির ছেলেটা। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার কোন মিডিয়া? উত্তর দিতেই বললেন, চটিচাঁটা মিডিয়া। কেন প্রতিবাদ নেই। তার জন্য অবরোধ কেন করলেন বিজেপির এইসব বীরপুঙ্গবরা? অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছেন বিরোধী দলনেতা। তাই বছর সতেরোর ছোট তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। যার প্রত্যুত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র যথার্থই বলেছেন, লোডশেডিং অধিকারী তার শিক্ষা ও রুচির পরিচয় দিয়েছে। আর যার হাত ধরে রাজনীতিতে আসা এবং পরিচিতি, যাকে এক সময় মায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন সেই তৃণমূলনেত্রীকে তিনি কখনও মমতাজ বেগম বলেছেন, আবার দলের প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি বারমুডা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো বোধহয় কু-কথা নয়? যারা বলেছেন তারাও বোধ হয় পরিবারের ছোট-বড় সকলের সঙ্গে এই ভাষা ব্যবহার করেন। এতটুকু নৈতিকতা থাকলে ভুলের জন্য ক্ষমা চান। তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে অখিল গিরির বক্তব্যকে তীব্র নিন্দা করেছে, সেই ভাষায় নিন্দা করার সাহস রয়েছে কী গেরুয়া শিবিরের তালেবরদের?
আরও পড়ুন-তমলুক সমবায় ভোটে লজ্জার হার বিজেপির, পর্যুদস্ত বিরোধী