প্রতিবেদন : বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের (bengali language) উপর পরিকল্পিত আক্রমণ নেমে এসেছে। বাংলার বাসিন্দাদের জুটছে বিদেশি তকমা। অসম থেকে পাঠানো হচ্ছে এনআরসি নোটিশ। তিতিবিরক্ত মানুষ। সেই জনরোষই এবার আছড়ে পড়ল গদ্দার অধিকারীর উপর। কোচবিহারে কনভয়ে হামলার ঘটনার পর এখন গায়ের জ্বালা ধরছে গদ্দারের। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে। কিন্তু তৃণমূল নয়, বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের রোষানলেই পড়ছেন গদ্দার। বঙ্গের বিজেপি নেতাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানুষ। তাঁরাই গদ্দারকে দেখে গো-ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন, কালো পতাকা দেখাচ্ছেন, জুতো ছুঁড়ছেন। দলীয় পতাকা দিয়ে গাড়ির কাচ ভাঙছেন। ডবলইঞ্জিন রাজ্যে যখন বাঙালিদের উপর আক্রমণ হয়েছে, তখন নীরব থেকেছেন, এখন ঠেলা
বুঝছেন গদ্দার।
তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, ত্রিপুরায় যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল, তখন এই গদ্দার অধিকারীরা উল্লাস করেছিলেন। গোঁফের আড়ালে মুচকি হেসেছিলেন। এখন কেন তাঁদের উল্টো সুর? বাংলার মানুষ বিজেপির রাজ্যে গিয়ে আক্রান্ত হবেন, তারপর এখানে বাংলার মানুষ বিজেপি নেতাদের পুজো করবেন তা তো হয় না। এদিন গদ্দারের কনভয় কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। গদ্দারের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় জানান, বিজেপি বাংলাবিরোধী, বাংলাভাষী (bengali language) বিরোধী। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণে প্রতিবাদেই বিজেপি নেতারা যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এটা মানুষের সত্বঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও শামিল।