প্রতিবেদন : বাংলায় বারবার গো-হারা হেরে ঘরে বাইরে প্রবল চাপে দল বদলি গদ্দার অধিকারী। কাঁথির নেতা বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে বাংলায় বিজেপির অধঃপতন দ্রুত গতিতে হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০২৪-এর লোকসভা, এর আগে পরে অসংখ্য উপনির্বাচন— সব ক’টিতে গোহারা হেরেছে বিজেপি। এই রাজ্যে লোকসভা আসন কমে হয়েছে ১২। চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির আসন শূন্য। এই অবস্থায় ঘরে বাইরে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছে গদ্দার। বুধবার বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠকে মোদি স্লোগানের বিরোধিতা করে আরও বিপাকে পড়ল গদ্দার। প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগান বদলে দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই গদ্দার বলে ওঠে, এই স্লোগান পাল্টে বলতে হবে যো হামারা সাথ হ্যায় হাম উনকা সাথ হ্যায়। এমনকী বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা রাখার কোনও দরকার নেই বলেও মন্তব্য করে গদ্দার। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তোলপাড় শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও। ড্যামেজ কন্ট্রোলে মাঠে নেমেছে বঙ্গ বিজেপির ম্যানেজাররা। তাঁরা প্রাণপণে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গদ্দার খোঁড়া গর্তে মাটি চাপা দেওয়ার। তাতেও ক্ষোভের আগুন সামলানো যাচ্ছে না। এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা যদি বলে থাকেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ তিনি চান না তাহলে তো সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের স্লোগানের বিরোধিতা করা। বুধবার এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদির স্লোগানেরই বিরোধিতা বিজেপির মধ্যে থেকেই করা হচ্ছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ একেবারেই ভুয়ো। এখন বিজেপির মধ্যে থেকেই এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করে এই স্লোগান বন্ধ করার কথা খুব উগ্রভাবে, কড়া করে বলা হল। এই স্লোগান চলবে না বন্ধ করো। কুণালের সংযোজন, যাঁরা এগুলো বলছেন তাঁরা আউট অফ ফ্রাস্ট্রেশন, আউট অফ ডিপ্রেশন, এই লাগাতার ভোটের হার, এসব থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এ-ধরনের মন্তব্য করেছেন। খিল্লি করছেন নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর স্লোগানের। মোদিকে তাঁর দলের মধ্য থেকে শুনতে হচ্ছে তাঁর স্লোগান চলবে না। দলের মধ্যে থেকে এ বিষয়টি তীব্র সমালোচিত হয়েছে। যিনি মন্তব্য করেছেন তাঁকে সেন্সর করে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। দ্বিতীয়বার এমন মন্তব্য করতে বারণও করা হয়েছে। তাঁকে বকুনি দিয়ে বলা হয়েছে যাও সংবাদমাধ্যমে যাও গিয়ে বলো ওভাবে বলতে চাইনি। এই কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রাক্তন সাংসদ বলেন, সংখ্যালঘু সেল চায় না এর অর্থ কী। সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দেওয়া উচিত— এই শব্দ ক্ষেপণটা প্রমাণ করে দিল বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। বিজেপি সাংবিধানিক স্পিরিটের বাইরে চলে। বিজেপি শুধু উগ্র হিন্দুত্বের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সাফ কথা কুণালের।
আরও পড়ুন- ঘুরিয়ে বোসকে তোপ কল্যাণ-সুখেন্দুর