বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করার অভিযোগে এবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর আগে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ শুভেন্দু-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সাসপেনশন প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। সেই প্রস্তাবে সম্মত হন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পালটা বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিজেপি।
মঙ্গলবার সংবিধান দিবস নিয়ে পেশ হওয়া একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। সেখানেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি মন্তব্য করেন, বিজেপির টিকিটে জয়ী অথচ, তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়কদের স্পিকার বিজেপি বিধায়ক বলেন। তাঁর এই মন্তব্যের অংশ রেকর্ড থেকে বাদ দিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ‘সতর্ক’ করেন স্পিকার। একইসঙ্গে জানান, বিধানসভার রেকর্ড বিধায়ক যে দলের হিসেবে উল্লেখ রয়েছে তিনি সেটাই বলেন। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে থাকা একতাড়া কাগজ স্পিকারের দিকে ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন তিনি। তেড়ে যান স্পিকারের দিকে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে সতর্ক করে বলেন, “আপনি স্পিকারের সঙ্গে এই ধরণের আচরণ করতে পারেন না।” পাল্টা শুভেন্দু বলেন, “আবার করব। বেশ করব”। এর পরই অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন শুভেন্দুসহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা।
এই ঘটনায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অসংসদীয় ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সাসপেনশন মোশন আনেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শাসকদলের অন্যান্য বিধায়ক তাতে সমর্থন জানান। শুভেন্দুকে সাসপেন্ডের প্রস্তাব আসার সময় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মত জানতে চান স্পিকার। তিনি বলেন, “সাংবিধানিক পদকে কিছু না বলাই উচিত। আমার কাস্টডিয়ানকে কেউ যেন অবমাননা না করেন।” এরপরই তৃণমূলের প্রস্তাবে সম্মত হন স্পিকার। গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকে।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য পড়শি দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মঞ্জুর, চিকিৎসা ভিসার জন্য বিশেষ পোর্টাল