প্রতিবেদন : একেই বলে পারফরম্যান্স প্রেসার। যাদবপুরের ছাত্র-মৃত্যুতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে গিয়ে নার্ভ ফেল করে পুলিশকে অকথ্য গালিগালাজ করল লোডশেডিং বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। নিজের মর্জিমতো যা খুশি তাই করতে না পেরে থানার ওসিকে শুয়ো… বাচ্চা বলে দিল। এমনকী বাপ-মা তুলতেও বাকি রাখল না। প্রকাশ্য রাস্তায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাড়ার ফুটো মস্তানদের মতো খিস্তিখেউড় দেখে পথচলতি মানুষ তো হতভম্ব। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। যা দেখে নিন্দার ঝড় সব মহলে। রাজ্যে এর আগে অনেকেই বিরোধী দলনেতার আসনে বসেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউই এরকম অভব্য কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করতেন না। সেই অর্থে গদ্দারের মতো নিম্নমানের নিম্নরুচির বিরোধী দলনেতা বাংলা কখনও দেখেনি। রোজকার ব্যর্থতায়-হতাশায় দলের ভিতরে-বাইরে রোজ গালাগাল খেতে থাকা গদ্দার এখন পালস হারিয়ে তালজ্ঞান রাখতে পারছে না। শুধু এই ঘটনাই নয়, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়ার উপর কার্যত নির্বিচারে লাথি-ঘুষি-চড় মেরেছে লোডশেডিং বিধায়কের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়নারা। তাদের অপরাধ, তারা গদ্দারকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল। তা সহ্য করতে না পেরে গদ্দার নেতা তার জওয়ানদের লেলিয়ে দেয়। যদিও তার মধ্যে থেকেও পড়ুয়ারা বলতে ছাড়েনি, নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) নেতাগিরি ঘুচিয়ে দিতাম। কিন্তু আক্রান্ত না হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষীরা কেন আক্রমণ করল, এ প্রশ্ন সর্বত্র উঠতে শুরু করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার? গদ্দার এদিন তাদের অনুষ্ঠান শেষে যাদবপুরের ৮বি-র দিকে এগোতে যায়। তখন স্বাভাবিক ভাবেই বাধা দেয় কর্তব্যরত পুলিস। সেখানেই থানার ওসিকে অকথ্য গালিগালাজ করে।
যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল এবিভিপি। সেখান থেকে শুভেন্দু ফেরার সময় পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আগামিকাল অর্থাৎ ১৮ তারিখ ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মৃত পড়ুয়ার বাড়ি যাবেন শুভেন্দু। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসিকে চিঠিও লিখবেন বলে জানান বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই কুৎসিত ভাষা ও আচরণের তীব্র নিন্দা করছে। এই অভব্য অঙ্গভঙ্গি ও অসংসদীয় ভাষা যে ব্যবহার করতে পারে তার বিরোধী দলনেতার পদে থাকার কোনও যোগ্যতা নেই।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতা এলেন তৃণমূলে