প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বাংলায় ১০ পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। তারপর আবার গদ্দার অধিকারী সমাজমাধ্যমে মিথ্যা পরিসংখ্যান তুলে ধরে কুৎসা করছে। গদ্দারের সেই দাবি নস্যাৎ করে তাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল। পাল্টা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একযোগে বিঁধলেন গদ্দার অধিকারীকে। তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, গদ্দার অধিকারী মানুষ ঠকাতে অসত্য ভাষণ দেয়। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বিষয়েও তার জ্ঞান সীমিত। তৃণমূল পাল্টা পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানায়, গত তিন বছরে আবাস যোজনায় কোনও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মঞ্জুর হয়নি। তা সত্ত্বেও ‘অসত্য’ দাবি করছে গদ্দার অধিকারী। সে যে মিথ্যার পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তা যুক্তি দিয়ে এবং তথ্যও তুলে ধরে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও ব্রাত্য বসু। তৃণমূল সমাজমাধ্যমে তথ্য দিয়েও জানিয়েছে, একশো দিনের কাজের টাকা কেন আটকে, তার জবাব দিন প্রধানমন্ত্রী। গত কয়েক দিন ধরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রশ্ন তুলে আসছেন, এবার সেটাই তৃণমূলের পক্ষে তুলে ধরা হল সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন-মধুবালার জীবনী নিয়ে বড় পর্দায় ছায়াছবি
সম্প্রতি গদ্দার অধিকারী দাবি করে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের অধীনে প্রথম কিস্তি হিসাবে ৬৮৭ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রমাণ হিসাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি চিঠিও তুলে ধরে। রবিবার তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে জানায়, গদ্দারের সেই দাবি ভুল। দু’ভাগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্প কার্যকর হয়েছে। প্রথমবার ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ। দ্বিতীয়বার ২০২২-২৩ থেকে। ২০১৮-১৯ সালে যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই দ্বিতীয়বার আবাসের টাকা মঞ্জুর করা হয়। এই মর্মে তৃণমূল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের লেখা অন্য একটি চিঠিও পোস্ট করে। সেখানে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে ৬৮৭,৮৩,৯৮,৮৫০ টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন। ২০২১ সালের আগে প্রথম দফায় যেসব বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়নি, তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা। কিন্তু অনুমোদন হওয়া আর ফান্ড রিলিজ করা এক জিনিস নয়। নতুন কোনও প্রার্থী টাকা পাননি। আর তারপর আর অর্থও পাঠায়নি কেন্দ্র।