প্রতিবেদন: রবিবার কালীপুজো উদ্বোধনে যাওয়ার পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে দফায় দফায় স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন গদ্দার অধিকারী (Shuvendu )। মহিলারাও তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। তাঁরা প্রশ্ন করেন, একশো দিনের কাজের টাকা কোথায়? উত্তরে নীরব থাকেন গদ্দার। প্রশ্ন ওঠে, কোথায় আবাসের টাকা? কোনও উত্তর নেই গদ্দারের মুখে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বেগতিক দেখে গদ্দারের দেহরক্ষীরা মহিলাদের জোর করে সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। গদ্দারের গাড়ি আটকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় গদ্দারের (Shuvendu ) তোলা অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এটা একটা গণতান্ত্রিক রাজ্য। বিজেপি নেতারা যেখানে খুশি যেতে পারেন। কিন্তু তাঁরা যেভাবে মানুষকে প্ররোচিত করেন, উত্তেজনা তৈরি করেন, বঞ্চিত করেন তাতে কিন্তু সাধারণ মানুষের তাঁদের প্রতি একটা ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা একশো কাজ করেও টাকা পাননি। আর এই বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন, কেন্দ্রকে বলে দিয়েছি টাকা যেন না দেওয়া হয়। মানুষ তো এসব দেখছেন। গরিব মানুষেরা এর জন্য ভুগছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। বিজেপি নেতারা এসব কোনওদিন ভেবেছেন, কীভাবে গরিব মানুষদের বঞ্চিত করা হল। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বকেয়া টাকা মিটিয়েছেন। গ্রামের গরিব মানুষ আবাসের বাড়ির টাকা পায়নি। আর বিজেপি নেতারা বলে দিলেন, দিল্লিকে বলে দিয়েছি, আর টাকা দেওয়া হবে না। এসব ঘটনাতেই বিজেপি নেতাদের ওপর মানুষ ক্ষুব্ধ। বাংলায় কথা বললে, বলছে বাংলা কোনও ভাষাই নয়, বাংলা বললে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব৷ পুশব্যাক করব। এসব বিজেপি নেতারাই করছেন। ফলে বাংলার মানুষ বাংলার শ্রমজীবী মানুষ বিজেপির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। ফলে কোথাও কোথাও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। ফলে কে বা কারা কোথায় বিজেপি নেতাদের কী প্রশ্ন করছেন, এরসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোথাও কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেস কোথাও পরিকল্পিত ভাবে তাঁদের বাধা দিতে যাচ্ছে না। উল্টে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য দেখিয়ে খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কারণ, তৃণমূল এর সঙ্গে কোথাও যুক্ত নয়। তবে বিজেপি নেতাদেরও বুঝতে হবে তাঁরা দিনের পর দিন মানুষকে বঞ্চিত করেছেন। ফলে মানুষ তাঁদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। তাঁরা মানুষের অধিকার, তাঁদের কাজ, তাঁদের রোজগার থেকে বুক বাজিয়ে গরিব মানুষকে বঞ্চিত করেছেন। ফলে কোথাও মানুষ এখন তাঁদের এসব নিয়ে প্রশ্ন করতেই পারে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি নেতারা এসব নিয়ে রাজনীতি করতেই তৃণমূলকে টেনে আনছেন।
আরও পড়ুন- চুক্তিস্বাক্ষরে শোচনীয় পরাজয় পাকিস্তানের