প্রতিবেদন : তৃণমূল নয়, রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার প্রকাশ্যে আক্রমণ একে অপরকে। লড়াই এতখানি তীব্র যে এরপর দিল্লির নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন রাজ্য সভাপতি। সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরে প্রবল ডামাডোল।
রাজনৈতিক মহলে সার্কাসের স্টান্ট দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা তিনটি তারিখ উল্লেখ করেছিলেন। যে তারিখের একটি পেরিয়ে যাওয়ার পরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, গায়ে হলুদ, বিয়ে এবং বউভাত ছাড়া অন্য কিছু ওই তারিখে হবে না। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দলবদলু বিরোধী দলনেতাকে আর একটু চাপে ফেলে সোমবার সকালেই বলেন ওই তিনটি দিনে রাজনৈতিক কোনও কর্মকাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা নেই। তা শুনে এদিন বিরোধী দলনেতা হাজরার সভায় বললেন, উনি মর্নিংওয়াকে যেসমস্ত কথা বলেন, সেগুলোর কোনও অর্থ নেই। সেগুলি গিমিক। প্রত্যুত্তরে কার্যত বিরোধী দলনেতাকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়ে দলের অন্দরে আগুন জ্বেলে দিয়েছেন দিলীপ (Dilip Ghosh- Suvendu Adhikari)। বলেছেন দলকে ড্যামেজ করছে শুভেন্দু। যখন প্রথম ডেট দেওয়া হয় তখন আমি বলেছিলাম কিসের ডেট? পার্টির কোনও কর্মসূচি রয়েছে? তাহলে কার নির্দেশে এসব করা হচ্ছে? মাঝে দেখলাম সুকান্ত সেই সুরে সুর মিলিয়েছে। ওকে বলেছিলাম তুমি তো সভাপতি। তুমি কি জানো দিল্লির নেতারা এই ৩ তারিখ নিয়ে কিছু বলেছেন কিনা? যদি না জানো তাহলে বলব, কেন শুভেন্দুর সুরে সুর মেলাচ্ছো। যদি ৩টে তারিখে সিবিআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানায় তাহলে আমাদের কি কিছু বলা উচিত? কোর্টের ভরসায় কি রাজনীতি করব আমরা? কোর্ট যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই মাসে নেয়ও তাহলে সে বিষয় নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য করা সাজে? মানুষতো তাহলে এবার প্রকাশ্যে বিজেপি-সিবিআই আঁতাতের কথা বলবে। এবার দল বুঝুক দল সিদ্ধান্ত নিক। ঘনিষ্ঠ মহলে দিলীপ এই বিষোদ্গার করে আরও বলেন, একাই দলটাকে বাংলা থেকে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দুকে তুলোধনা করে কার্যত রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh- Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুকে অপরিণত, অপরিপক্ক, ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ বলতেই শুধু বাকি রেখেছেন।
আরও পড়ুন-এমআইএস: দেশের শীর্ষে বাংলাই