প্রতিবেদন : নিজের আসল কুৎসিত চেহারা ফের বের করে ফেলল গদ্দার অধিকারী। শুক্রবার নদিয়ার রানাঘাটের গাংনাপুরে কনভয় নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষ গদ্দারকে দেখেই ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পথ চলতি জনতাকে জুতো দিয়ে মারবে বলে শাসায় গদ্দার(জুতো হাতে নিয়ে)। সেই সঙ্গে দেদার ছাপার অযোগ্য কুৎসিত, কুরুচিকর, অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে থাকে। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা নিরস্ত্র করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, সাধারণ মানুষ গদ্দারকে দেখে চোর বলায় এত রাগ? এর আগেও দেখা গিয়েছে একাধিকবার পথে-ঘাটে, এভাবে গাড়ি থেকে নেমে অথবা গাড়ির ভেতর থেকেই মুখ বাড়িয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেছে গদ্দার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
অহরহ মেজাজ হারানোটাই তার স্বভাব। অন্যকে চোখ পাকিয়ে হুমকি দেওয়া, হম্বিতম্বি করা, ধমকানো চমকানো, ইডি-সিবিআইতে গ্রেফতার করানোর ভয় দেখানো এই সবেই অভ্যস্ত বিরোধী দলনেতা। অন্যকে চোর বলা গদ্দারকে যখন সাধারণ মানুষ পাল্টা চোর বলছে তখন মেজাজ হারিয়ে সেই সাধারণ মানুষকেই কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করল গদ্দার। আসলে দাঁত- নখ বার করা গোপন চেহারাটা মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসে। মুখোশ পরে আর কাঁহাতক থাকা যায়। ২০২০-তে যোগদানের পর থেকে বিজেপির শনির দশা চলছে। তার নেতৃত্বে সবক’টি নির্বাচনই বিজেপি গো-হারা হেরেছে। লোকসভায় আসন সংখ্যা কমে হয়েছে ১৮ থেকে ১২। পঞ্চায়েতে হেরেছে। সমস্ত উপনির্বাচনেও হেরেছে। দলের মধ্যে গোষ্ঠীবাজি করতে গিয়ে আদি বিজেপি নেতা-কর্মীদের বসিয়ে দিয়ে নিজের লোককে জায়গা করে দিতে গিয়ে বিজেপি দলটাকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রবল চাপ এবং সঙ্গে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি— সবমিলিয়ে পায়ের তলার মাটি সরছে গদ্দারের। তাই আর মুখের আগল থাকছে না। বেরিয়ে পড়ছে নিজের চিরাচরিত ভাষা। ছিঃ গদ্দার ছিঃ!