সংবাদদাতা, আসানসোল : কোনও অবস্থাতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীকে ফেরানো যাবে না। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে জেলা প্রশাসন স্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রোগী রিফিউজাল খুব বেশি হচ্ছে। এটা মানা যাবে না।
আরও পড়ুন-দুর্নীতিমুক্ত পৌষমেলার দাবিতে চিঠি দিল ব্যবসায়ীদের সংগঠন
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে রাজ্য সরকার যে নতুন গাইডলাইন দিয়েছে, তা সব হাসপাতালকে এমন জায়গায় টাঙিয়ে রাখতে হবে যাতে হাসপাতালে আসা মানুষেরা সহজেই তা দেখতে পান। বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ শেভালে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মহঃ ইউনুস খান, আসানসোলের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডাকা হয় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদেরও। তিনি বলেন, প্রায়শই মানুষ অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রোগী ভর্তি করতে চায় না। নানা অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ফলে চরম হয়রানির শিকার হন রোগী ও পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে আচ্ছন্ন বর্ধমান
জেলাশাসক সিএমওএইচকে বলেন, যেসব হাসপাতাল ও নার্সিংহোম থেকে রোগী প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটছে, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সেখানে যান। রিপোর্ট তৈরি করে পাঠান। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে তা পাঠানো হবে। জেলা স্তরে নজরদারি কমিটি প্রতি মাসে বৈঠকে বসে পর্যালোচনা করবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সার্ভিলেন্স বাড়াতে হবে।