প্রতিবেদন : আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস বদল হতে পারে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রায় দশ বছর পর সিলেবাসে বদল আসতে চলেছে। ৪৭টি বিষয়ে সিলেবাস বদলের পরিকল্পনা সংসদের।
সিলেবাসকে আরও আধুনিক করার পরিকল্পনা রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এই কারণে প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ১ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, ১ জন কলেজের শিক্ষক, ২ জন স্কুল শিক্ষককে রাখা হয়েছে। আগামী শনিবার এই কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মূলত সিলেবাসে কী কী বদল করা যেতে পারে তাই নিয়েই আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
এই প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রের বোর্ডগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে আমরা নতুন সিলেবাস তৈরি করতে চাই। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই নতুন সিলেবাস তৈরি করা হবে। বৈঠকে গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হবে কীভাবে সিলেবাস বদল হবে। একটা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে। যাতে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কোনও অসুবিধে না হয় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে।
আরও পড়ুন- ডায়মন্ড হারবারে সাহায্য চলছেই
সংসদ সভাপতির সংযোজন, ২০১২-১৩ সালে শেষ সিলেবাস বদল হয়েছিল। এখন আবার সিলেবাস বদলের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে অর্থনীতি বিষয়ে জিএসটি এসেছে। এগুলো যোগ করা প্রয়োজন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিলেবাস বদল প্রয়োজন রয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাস তৈরি করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টারের ধাঁচে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জীব বাবু বলেন, সেমিস্টার পদ্ধতি শুরু হলে সেক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণীতে দুটো সেমিস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটো সেমিস্টার হবে। সিলেবাসও সেক্ষেত্রে ভেঙে দেওয়া হবে। এই বিষয়েও ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে সবুজ সংকেত মিললেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে এই নয়া নিয়ম।