প্রতিবেদন : পড়ুয়াদের ক্লাসমুখী করা, সিলেবাস সরলীকরণ, ফেলের হার কমানো ইত্যাদি একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা শুরু করল। বিশ্ববিদ্যালয় তার অধীন ২৫টি কলেজের স্নাতকস্তরের প্রথম সেমেস্টারের হতাশাজনক ফলাফল কীভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। বিকেল তিনটে থেকে চার ঘণ্টার বৈঠকে পড়ুয়াদের ক্লাসমুখী করা, সিলেবােসর জট কাটানো ইত্যাদি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধ্যক্ষরা সর্বসম্মতভাবে পড়ুয়াদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে সহমত হয়েছেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সর্বাধিক চারটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা যাবে। আগে মাত্র দুটি বিষয়ে আবেদন করা যেত। আবেদনের ফি কমানো হবে। অধ্যক্ষদের অনুমান, এর ফলে প্রথম পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। গ্রেসমার্ক দিয়ে যতটা সম্ভব ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানোর বিষয়টি নিয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিধানসভা নির্বাচনের পর বিরোধী দলনেতা পাবে না বিজেপি : কল্যাণ
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। পুনর্মূল্যায়নের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। পড়ুয়াদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলেজের গভর্নিং বডি। সিলেবাস সহজ করা হবে। যেখানে শিক্ষক কম, সেখানে বেশি শিক্ষক থাকা কলেজ থেকে গিয়ে ক্লাস নেওয়া হবে। বৈঠকে ছিলেন টিএমসিপির জেলা সভাপতি প্রসূন রায়।