প্রতিবেদন : সন্দেশখালি-কাণ্ড যে আসলে বিজেপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত তা আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও ভাইরালের পর। এবার ১ জুন বসিরহাটে ভোটের আগেই বিজেপিতে ভাঙন। এবার সেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও বসিরহাটের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া পারভিন (Syria Parveen) বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। দলে যোগ দিয়েই সিরিয়া ফাঁস করলেন সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির নেপথ্য চক্রান্তের কাহিনি। সেই সঙ্গে তুলোধোনা করলেন গদ্দার-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিরিয়া। সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির প্রতি তাঁর সমস্ত মোহ ঘুচে গিয়েছে। তাঁর কথায়, যেখানে মহিলাদের সুবিচারের আশায় আমার আন্দোলন সেখানে আমি প্রথমদিনেই বুঝেছিলাম সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বিজেপির সাজানো নাটক। অনেকদিন ধরে এই নিয়ে মনোকষ্টের পর শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে মহিলাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার সিরিয়ার। সিরিয়া মনে করিয়ে দেন, তাঁরা সত্যের জন্য, মা-মেয়েদের সম্মানের জন্য লড়াই করছিলেন। কিন্তু বসিরহাটের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন পুরোটাই একটা বানানো গল্প, রচনা। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিতে আন্দোলন করার জন্য মহিলাদের টাকা দেওয়া হত, এমনকী মোবাইল পর্যন্ত পাঠিয়ে সন্দেশখালি অশান্ত করার চেষ্টায় সমস্ত পরিকল্পনা দেওয়া হত! শুধু তাই নয়, কোন দিন কী করা হবে, সব নির্দেশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ এবং মোবাইল মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে দাবি করেছেন পারভিন। একইসঙ্গে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের মিথ্যাচারকেও কাঠগড়ায় তুলছেন পারভিন। যেখানে মহিলাদের সম্মানরক্ষার্থে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছিল সেখানে পুরো চক্রান্ত সামনে এসে পড়ায় ঘৃণায় বিজেপি ত্যাগ করলেন সিরিয়া পারভিন।
আরও পড়ুন- আহা! ঢপবাজি কারে কয় সে কি কেবলই ছলনাময়
মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সিরিয়া বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বিজেপির প্রতি তাঁর সমস্ত মোহ ঘুচে গিয়েছে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপির কারসাজি প্রকাশ্যে এনে রীতিমতো বিস্ফোরক সিরিয়া (Syria Parveen)। তিনি বলেন, যেখানে মহিলাদের সুবিচারের আশায় আমার আন্দোলন সেখানে আমি প্রথমদিনেই বুঝেছিলাম সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বিজেপির সাজানো নাটক। অনেকদিন ধরে এই নিয়ে মনোকষ্টের পর শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে মহিলাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার সিরিয়ার। সিরিয়া মনে করিয়ে দেন, তাঁরা সত্যের জন্য, মা-মেয়েদের সম্মানের জন্য লড়াই করছিলেন। কিন্তু বসিরহাটের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন পুরোটাই একটা বানানো গল্প, রচনা। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিতে আন্দোলন করার জন্য মহিলাদের টাকা দেওয়া হত, এমনকী মোবাইল পর্যন্ত পাঠিয়ে সন্দেশখালি অশান্ত করার চেষ্টায় সমস্ত পরিকল্পনা দেওয়া হত! শুধু তাই নয়, কোন দিন কী করা হবে, সব নির্দেশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ এবং মোবাইল মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে দাবি করেছেন পারভিন। পাশাপাশি এদিন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের মিথ্যাচারকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন পারভিন। তিনি বলেন, যেখানে মহিলাদের সম্মানরক্ষার্থে আমাদের লড়াই চলছে সেখানে বিজেপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েই আমার তৃণমূলে যোগদান।
মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, সন্দেশখালির যে ‘অসত্য’ চিত্রনাট্য চলছিল তা আমার পাশে বসা ব্যক্তি দেখেছে। এটা যে ষড়যন্ত্র সেটা সে জানতে পেরেছে। এতদিন হয়তো তাঁর সাহস হয়নি, কিন্তু বর্তমানে বিজেপির লাগাতার মিথ্যাচার সব সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয় যে আর বিজেপিতে থাকবে না। শশী আরও জানান, বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালেই বিজেপি তাঁকে এই দায়িত্ব দেয়। রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।