প্রতিবেদন : ট্যাবলো নিয়ে কেন্দ্রের রাজনীতি প্রকাশ্যে। কেন বাংলার নেতাজি ট্যাবলো সাধারণতন্ত্র দিবসে স্থান পায়নি তার ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছেঁদো যুক্তি। শোনার পর বিরোধী মহল এমনকী বিজেপি থেকেও প্রতিবাদ হয়েছে। আর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, ট্যাবলো নিয়ে রাজনীতি করবেন না! প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতি করছে কারা?
আরও পড়ুন-কাঁপল আফগানিস্তান, জোড়া ভূমিকম্পে হত ৩১
প্রথমত, মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় আসা যাক। তিনি বলছেন, ট্যাবলো নিয়ে রাজনীতি করবেন না। প্রশ্ন হল, রাজনীতি করছেন কে?
নেতাজিকে নিয়ে ট্যাবলো করার প্রথম অধিকার বাংলার থাকবে না তো কার থাকবে? নেতাজি, বাঙালি, বাংলা, স্বাধীনতা আন্দোলন সব মিলেমিশে একাকার। নেতাজির ১২৫ পূর্তিতে তাদের প্রথম অধিকার থাকবে না তো কাদের থাকবে? বিরোধীরা বলছেন, অর্থমন্ত্রী ট্যাবলো নিয়ে বিজেপির রাজনীতিতে মাথা না গলিয়ে দেশের ১০টি পরিবারের হাতে অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি কীভাবে গেল, তার জবাব দিন। রাজনীতি তো বিজেপি সরকার করেইছে। এখন সেটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ায় গা বাঁচাতে নামতে হয়েছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সকলে কথা বলছেন। এমনকী বাংলার কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন-নদিয়ায় ১০০ দিনের কাজে দুরন্ত সাফল্য
দ্বিতীয় কথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সংস্থার নেতাজি-ট্যাবলো ছাড় পেয়েছে। কেন? প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এই ট্যাবলোর কথা শেষ ২৪ ঘন্টায় এসেছে। আগে কেন বলা হয়নি? আর ৫৬টার মধ্যে বাছাই করা ২১টার জায়গায় ২২টা হলে কোন কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘিত হতো! যদি নেতাজির ১২৫ বছর জন্মবার্ষিকীতে বাংলার ট্যাবলো থাকতো, তাতে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? উত্তরপ্রদেশ আর উত্তরাখন্ডে ভোট আসছে। তাই দুই রাজ্যে ধর্মীয় ট্যাবলো সাধারণতন্ত্র দিবসে স্থান পেতে পারে, কিন্তু ১২৫ বছর পূর্তিতে বাংলার মানুষের সুভাষচন্দ্র বোসের ট্যাবলোর দাবি কেন মানা হবে না? সমালোচনায় সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
আরও পড়ুন-করোনা আক্রান্ত গৌতম দেব
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, যদি কেন্দ্রের নেতাজি প্রেম অতিরিক্ত হয়ে থাকে, তাহলে বলব, নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের ক্লাসিফায়েড ফাইলগুলো প্রকাশ্যে আনুন। ডিক্লাসিফায়েড করুন সেই সব গোপন ফাইল।
সব মিলিয়ে ট্যাবলো রাজনীতিতেও নাস্তানাবুদ কেন্দ্র। সীতারমন ও রাজনাথকে নামিয়েও নেতাজি ট্যাবলো থেকে রাজনীতির গন্ধ সরানো যায়নি।