”অবস্থান নিন আপনারা” মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের নিশানায় চাকরিপ্রার্থীরা

এই বিষয়ে, আজ দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেন।

Must read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে এবার আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হল। আজ বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল চাকরিহারা শিক্ষকদের ডাকে কলকাতায় মহামিছিল আয়োজিত হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মন্তব্যের ফলে আদালত অবমাননার নোটিশ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গেলেন? নিটেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। তবে সেসবে তো কারোর চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?’

এই বিষয়ে, আজ দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দিলেন এক আইনজীবী।”

আরও পড়ুন-‘পুলিশ কি রসগোল্লা খাওয়াবে?’ জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টেনে কবিতার মাধ্যমে খোঁচা সুবোধ সরকারের

১. মুখ্যমন্ত্রী এদের চাকরির সুরক্ষায় যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন তার মধ্যে জট পাকিয়ে এটাকে আটকে দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এ জাতীয় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এটা একটা পরিকল্পিত প্রক্রিয়া যাতে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি সুরক্ষিত রাখতে যে যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাতে আইনি জটিলতা তৈরি করা যায়। চাকরিহারাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই চক্রান্তের দিকে নজর রাখুন, এদের ফাঁদে পা দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের স্বার্থে যে কাজে গতি আনতে চাইছেন, সেখানে এরা নানাভাবে মামলা, মোকদ্দমা করে নোটিশ দিয়ে আপনাদের সুরক্ষা প্রক্রিয়াতে দেরি করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
২. এই রাম-বামকে জনতা প্রত্যাখ্যান করেছে। এরা ভোটে আর পারছে না, তাই কোর্টে গিয়ে জটিলতা তৈরি করতে চাইছে।
৩. মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু আদালতের কোনও রায় যদি বহু মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী হয় তাহলে রায়ের সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করা এবং তা পুনর্বিবেচনার কথা বলতেই পারেন। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং যাঁরা এটা বলছেন, তাঁরা মনে রাখবেন, বিচারপতিরা যখন বিচারপতির চাকরি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়ে যান তখনই সাধারণ মানুষের চোখে বিচার ব্যবস্থা ও তার
নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান জানিয়েই রায়ের যে অংশে বহু সংখ্যক মানুষের ক্ষতি হয়েছে তার পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন শুধু ওই মানুষগুলোর স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই।

আরও পড়ুন-গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বিমান হামলা, নিহত ৩৫, নিখোঁজ ৮০

প্রসঙ্গত, আদালত অবমাননা আইন, ১৯৭১ অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তি আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে বিচার শেষে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁকে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, ২০০০ টাকা অবধি জরিমানা অথবা দু’টোই করা হতে পারে।

Latest article