বর্ষায় ঘর-বাড়ি-আসবাব
বর্ষা নিয়ে কবি-সাহিত্যিকরা যতই আপ্লুত থাকুন না কেন যিনি সকাল থেকে রাত ঘরকন্না করেন তিনিই বোঝেন বর্ষার বিড়ম্বনা। একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে অনুষঙ্গে দিনযাপনের দুর্ভোগ। গুমোট গরম, লোডশেডিং, প্যাচপেচে ঘাম, স্যাঁতসেঁতে ঘর, আধশুকনো গুমোগন্ধ-ধরা জামাকাপড়, জলকাদা, পোকামাকড়, সাপখোপে শেষ হবে লিস্টি। বর্ষাকাল মানেই বাড়তি সতর্কতা এবং বাড়তি যত্ন। সেই সঙ্গে বাড়তি ঝামেলাও। কী কী খেয়াল রাখবেন। কী করবেন আর কোনটা করবেন না তার ফিরিস্তি খুব কম নয়।
বর্ষায় সবচেয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা দেয় পোকামাকড়। এই সময় আর্দ্রতা বাড়ে, যা কাঠের আসবাবের সবচেয়ে ক্ষতি করে কারণ কাঠ আর্দ্রতা টানে এবং ছত্রাক ও পোকামাকড়ের জন্ম দেয়। বর্ষার সময় প্রথমেই দেওয়াল থেকে আসবাব একটু সরিয়ে আনুন।
কাঠের আসবাবপত্রে ফাঙ্গাস পড়লে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যায়। এ-সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে বর্ষার শুরুতেই জল আর ভিনিগার মিশিয়ে স্প্রে করে ফার্নিচার মুছে নিন। কোনও হার্ডওয়ারের দোকানে পাওয়া যায় একধরনের স্পিরিট সেটাও ফাঙ্গাস রোধে খুব ভাল কাজ দেয়।
নিমপাতা বা কর্পূরের থলি এই সময় খুব কাজে দেবে। ছোট ছোট প্যাকেটে নিমপাতা বা কর্পূর রেখে মুখটা আটকে দিন। এবার ওগুলো আপনার ড্রয়ার এবং ওয়ারড্রোব বা বদ্ধ জায়গায় রাখুন। অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করা থেকে, দুর্গন্ধ এবং ছত্রাক দূর খুব কার্যকরী একটা উপায়। কর্পূর বা ন্যাপথলিন আর্দ্রতা শুষে নেয় তাই এগুলো কাঠের পোকামাকড় ও অন্যান্য কিট থেকেও রক্ষা পাবেন।
একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল স্প্রে তৈরি করুন। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ জল, ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার এবং ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এটা ফ্রিজে রেখে দিন সপ্তাহে একবার বা দু’বার আসবাবপত্রে হালকাভাবে স্প্রে করুন।
আসবাবপত্র শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন। ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলুন। ভেজা কাপড় ব্যবহারের ফলে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যেতে পারে এতে আসবাব নষ্ট হয়ে যায়।
তাপমাত্রা ঠিক রাখতে ও স্যাঁতসেঁতে ভাব কাটাতে হিউমিডিফায়ারস উপকারী। ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আসবাবও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
বৃষ্টির সময় ছাড়া ঘরের জানলা খুলে রাখুন যাতে পর্যাপ্ত আলো, হাওয়া, বাতাস খেলে।
বর্ষায় কাঠের আসবাবে দাগ দেখলে জলের মধ্যে খাবার সোডা মিশিয়ে একটি কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে পারেন কিংবা চা-পাতা ফোটানো ঠান্ডা জল দিয়ে পালিশ করুন। এতে ঝকঝকে থাকবে আসবাব।
বর্ষা মানেই দেওয়ালে ফাটল, জল চুঁইয়ে পড়া। ঘরের ছাদ, দেওয়াল ও কোণে ভিজে ভাব থাকলেই বুঝতে হবে নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। মাটি থেকে যদি ভিজে ভাব ওঠে, তাহলে মাটিতে জলের পাইপ বসানোর কোনও সমস্যা থাকতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল হতে পারে ঘরের অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে। এগুলো দেখে নিন।
ছত্রাক বিষাক্ত। দেওয়ালের ভিতরে, চিমনির মধ্যেও এরা জন্মাতে পারে। তাই এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে গেলে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বোরাক্স ও ভিনিগার মিশিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি ঘষতে হবে।
বর্ষার আগে একজন মিস্ত্রি ডেকে বাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ভাল করে দেখে নিন। অন্য দিকে পাইপও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে অ্যাসিড বৃষ্টি হলে, তাই এই ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে এমন পাইপ লাগান।
ঘরে রাখা কিছু গাছ অতিরিক্ত আর্দ্রতা বাড়ায়। তাই বর্ষার আগে সেগুলো জানলার ধারে রাখা ভাল।
বর্ষায় জামাকাপড়
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত জামাকাপড় ধুয়ে ফেলুন। এতে কাপড়ে দুর্গন্ধ বা ফাঙ্গাস ধরবে না।
ডিটারজেন্টের সঙ্গে ভিনিগার ও বেকিং সোডা দিয়ে জামাকাপড় কাচুন। এতে ফাঙ্গাস দূর করতে ভিনিগার ও বেকিং সোডা দুর্গন্ধ দূর করতে ভাল কাজ করে।
বৃষ্টিতে বাইরে কাপড় শুকাতে না পারলে, ঘরের ভেতরে শুকোন। খেয়াল রাখবেন, সেই ঘরে যেন পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল থাকে।
কিছু কাপড় আছে যেগুলি সাধারণ ভাবে শুকোনো কঠিন। এই ধরনের কাপড়ের জন্য ড্রাই ক্লিন করে নিন।
বর্ষাকালে কাপড়ে ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই কাপড় ধোয়ার সময় জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর কাপড় ধুয়ে জীবাণুনাশক তরলে চুবিয়ে তারপর শুকিয়ে নিন।
ভেজা কাপড় ইস্ত্রি করলে সেটি আরও ভালভাবে শুকিয়ে যায় এবং জীবাণু-মুক্ত হয়। তাই ইস্ত্রি করতে পারেন।
ওয়ারড্রোব বা আলমারিতে শুকনো কাপড় ভাঁজ করে রাখার সময় তা দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চক বা সিলিকনের পাউচ রেখে দিতে পারেন।
বর্ষায় জুতো-বিভ্রাট
রাবার, সিনথেটিক বা জলরোধী পিভিসি, সিন্থেটিক মেটিরিয়ালের জুতো বর্ষার জন্য ভাল। এই মেটিরিয়াল জল শোষণ করে না এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। অ্যান্টি-স্কিড সোলের জুতো বেছে নিন এতে দৌড়ে ট্রাম-বাসে চাপতে গিয়ে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
জিন্স, টপ হোক কিংবা পালাজ়ো, সালোয়ার সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই স্লাইডার পরুন। বর্ষার জন্য এই জুতো বেশ ভাল। ভিজে গেলেও কোনও ক্ষতি হবে না। স্লিপার কিংবা স্যান্ডেল এই সময়ের জন্য ভাল। পা ঢাকা ক্রক্স পরতে পারেন বর্ষায় জুতো নিয়ে ঝক্কি পোহাতে না চাইলে। কারণ বর্ষায় ভেজা পা নিয়ে দীর্ঘসময় চাপা জুতো পরলে পায়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্রকসের ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত ডিজাইন থাকায় হাওয়া-বাতাস খেলবে এবং পা দ্রুত শুকবে।
এই সময় জুতোয় গন্ধ একটা বড় সমস্যা কারণ ছত্রাক জন্মায় জুতোয়। তাই জুতোর মধ্যে সামান্য ট্যালকম পাউডার বা বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখুন। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্প্রে করতে পারেন। জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টিট্রি অয়েল বা নিমতেল মিশিয়ে জুতোর ভিতর ছিটিয়ে দিন।
যদি বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয় তাহলে চামড়ার জুতো ও ব্যাগ শু-র্যাক বা আলমারি থেকে বের করে আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় কিছুক্ষণ রেখে দিন। যদি ড্যামভাব থাকে তাহলে চলে যাবে। চামড়ার জিনিসের জন্য আলাদা শাইনার পাওয়া যায়। উজ্জ্বলতা বাড়াতে শাইনার ব্যবহার করতে পারেন।
বিদ্যুৎ আর জলের সমস্যায়
বর্ষায় সবচেয়ে চাপের হল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। ঝড়-বৃষ্টির দাপটে সবার আগে নজর দিন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দিকে। কারণ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা প্রবল থাকে। ঝড়ে বা অতিবৃষ্টিতে লোডশেডিং একটা আমঘটনা আর কারেন্ট না থাকলে জলের আকাল হবেই। তাই বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলো দেখে নিন বৃষ্টির জলের কাছাকাছি কিছু না থাকে বা কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখুন পর্যাপ্ত। স্নান বা অন্যন্য কাজের জল স্টোর করে রাখুন এতে ভোগান্তি কমবে।
এইসময় মশার উপদ্রব খুব বাড়ে সেই সঙ্গে বাড়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া তাই মশার কয়েল জ্বালান। কয়েল ব্যবহারের সময় জানলা খোলা রাখুন। মশার স্প্রে বা মশারি ব্যবহার করুন।
হাতের কাছে শুকনো খাবার, জলের বোতল, ফার্স্ট-এড-এর জিনিসপত্র, রেইনকোট, ছাতা মজুত রাখুন। ঝড়-বৃষ্টি জানলা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখুন।
ঘরের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঝোপঝাড়, আবর্জনা এবং শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলুন, যেখানে সাপ আশ্রয় নিতে পারে। ইঁদুর থাকলে বাড়িতে ব্যবস্থা নিন। কারণ ইঁদুর থাকলে সাপ আসতে পারে। বাড়ির চারপাশে ব্লিচিং পাউডার নিয়মিত ছড়ান এবং ন্যাপথলিন বল ছড়িয়ে রাখুন এতে সাপখোপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবেন।
বর্ষায় ভাল থাকতে হাইড্রেটেড থাকুন
বৃষ্টির ফোঁটায় প্রকৃতি সুন্দর হয়ে উঠলেও শরীরকে সুস্থ রাখতে চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। জল ছাড়া জল জাতীয় পানীয় যেমন ডাবের জল, ফলের রস, ভেষজ চা, স্যুপ খেয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। এইসময় আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাতাসে বেশি তাই তেষ্টা কম পাবে, তা সত্ত্বেও জল বেশি করে খেতে হবে। পর্যাপ্ত জল এই সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করবে, এর ফলে যে-কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। জল শরীরের ভিতরটা ময়েশ্চারাইজ করবে যা ত্বক ও চুলের শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাবে। এই সময় কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। জল হজমের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং অতিরিক্ত ঘাম থেকে ডিহাইড্রেশন রোধ করে।
ব্যাল্যান্সড ডায়েট
বর্ষার ব্যাল্যান্সড ডায়েট আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ এই সময় কমবেশি পেটের সমস্যা, অ্যালার্জি, ত্বকের সংক্রমণ, চুলের সংক্রমণ, হজমের গোলমাল, ডায়েরিয়া ইত্যাদিতে ভোগেন। তাই বুঝে খান। রোজ একটা করে মরশুমি ফল খান। আপেল, মুসাম্বি, কলা, পেয়ারা খেতে পারেন। মরশুমি ফল হিসেবে আম উপকারী। বিশেষ করে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এবং খাবার খেলে রোগ-প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাবে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে আম কম খান। সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। সবুজ সবজি, ড্রাই ফ্রুটস খান, এগুলো শরীরে ইমিউনিটি বাড়াবে। দই বা দইয়ের ঘোল রাখুন রোজকার পাতে। উচ্ছে, পেঁপে, লাউ থাকুক পাতে। এতে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দেখা দেবে না।
এই সময় সকালে হার্বাল টি, লিকার চায়ে অল্প মধু, গোলমরিচ, পুদিনা বা তুলসীপাতা দিয়ে খান। হঠাৎ বৃষ্টির আবহাওয়ায় হাঁচি, কাশি, সর্দির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন। রাস্তার খাবার, জাঙ্ক ফুড এই সময় এড়িয়ে গেলেই ভাল। বিশেষ করে রাস্তার জল একদম নয়। কারণ এর থেকে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা এই সময় অনেক বেশি।
এই সময় কাঁচা নুন বা রান্নায় অতিরিক্ত নুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত নোনতা খাবার শরীরে জল বাড়িয়ে দেয় ফলে ব্লটিং-এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। ফাইবার যেমন ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস রাখুন পাতে।
বর্ষায় রান্নাঘরে রয়েছে মহৌষধী হলুদ। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। হলুদ ব্লোটিং দূর করে, হজমে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। রাতে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খান এতে সর্দি-কাশির উপশম হবে।
আদা, রসুন এবং মধু হল প্রাকৃতিক উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আদা এবং রসুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। বর্ষার সর্দিগর্মিতে মধু খান। মধু গলাব্যথা উপশম করতে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচুন
বর্ষায় চোখে সংক্রমণ হয় অনেকের। যেমন কনজাংটিভাইটিস। চোখ চুলকালে, চোখ দিয়ে জল পড়লে, চোখে পিঁচুটি কাটলে বারবার জলের ঝাপটা দিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাইজিনিক থাকুন
বাইরে থেকে ফিরে পা খুব ভাল করে অ্যান্টিসেপটিক লোশনে ধুয়ে নিন। স্নানের সময় জলে কয়েক ফোঁটা অডিকোলন ফেলে স্নান করুন। খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। যদি কোনও কারণে ভিজে বাড়ি ফেরেন সঙ্গে সঙ্গে স্নান করে নিন।
রাস্তার ধারের কাটা ফল, ফলের রস, আখের রস এড়িয়ে চলুন। এর থেকে ডায়েরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ডায়েরিয়া হলে সারাদিন ওআরএস খেতে থাকুন।
শরীরচর্চা
বর্ষাকালে হাঁটতে বা দৌড়তে যান নিয়মিত। যদি সময়ের অভাব থাকে তবে বাড়িতেই করে নিন শরীরচর্চা। শরীরচর্চায় এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় যা মেজাজ ভাল রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে শরীরে মেদ জমতে দেয় না। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। তাই সবসময় শরীরচর্চার মধ্যে থাকুন।
মন ভাল রাখুন
অপর্যাপ্ত সূর্যের আলো বর্ষাকালে মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। একে বলে মনসুন ডিপ্রেশন বা এসডি সিন্ড্রোম যার পুরো কথাটা হল সিজনাল এফেক্টিভ ডিজর্ডার। এর ফলে হঠাৎ হঠাৎ মেজাজের পরিবর্তন হয়, নিস্তেজ লাগে, একটা আলস্য কাজ করে। তাই রোদ উঠলেই একটু রোদের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করুন। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি সরবরাহ করে যা মনকে মুহূর্তে চাঙ্গা করে তোলে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। ঘুমের অভাব মেজাজকে আরও খারাপ করতে পারে। নিজের পছন্দের কাজ বেশি করুন।