নয়াদিল্লি : ক্ষোভ সামাল দিতে জ্বালানির উপর কর কমানোর দিল্লির কুনাট্য আগেই ভেস্তে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো তথ্য-পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কর কমিয়ে কোনও উপকার আদপেই মোদি সরকার করছে না। বরং মোদি-শাহের নেতৃত্বে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লুঠ চলছেই। কর কমানোর নাটক করে কায়দা করে ফের জ্বালানির মূল দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দাঁড়িয়ে আছে বাস্তবের মাটিতেই। বিজেপি জ্বালানিতে মামুলি কর কমিয়ে বিরোধী রাজ্যগুলির উপর বাড়তি আর্থনৈতিক বোঝা চাপানোর চেষ্টা করেছে। বলা হচ্ছে, দিল্লির দেখানো পথেই জ্বালানির উপর সেস কমাক রাজ্য।
আরও পড়ুন-হেরে চাপে ভারত এশিয়া কাপ হকি
মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এই ভাতে মারার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব। এবার তাঁর দেখানো পথেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তামিলনাডু। ডিএমকে জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী পালানিভেল ত্যাগরাজন চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। তাঁর দাবি, আমরা জানি, কাজ কীভাবে করতে হয়। আমাদের থেকে খারাপ পারফরম্যান্স যাদের, তাদের কোনও আদেশ আমরা মানব না।
আরও পড়ুন-ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আজ
তাঁর যুক্তি, আমরা রাজস্ব ঘাটতি ৬০,০০০ কোটি টাকা থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি নিয়ে এসেছি। আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাটতির তুলনায় অর্ধেক। আমাদের রাজ্যে মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ। আমাদের মূল্যস্ফীতি মাত্র ৫ শতাংশ, যেখানে জাতীয় মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ। ফলে, আমাদের কী করতে হবে, তা কারও বলার দরকার নেই। তাঁর সংযোজন, কেন্দ্রীয় সরকার যখন পেট্রোলের উপর আবগারি শুল্ক তিনগুণ এবং ডিজেলের উপর ১০ গুণ বাড়িয়েছে, তখন তারা রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শও করেনি। যখন রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেটে দেওয়া হয়, তখন দিল্লির ‘নীতি’ কোথায় থাকে?