প্রতিবেদন : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ট্যাংরা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রসূন দে-কে সোমবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। আদালতে লিগ্যাল এইড-এর অ্যাডভোকেট বলেন, প্রসূন দে কোনও আইনজীবী রাখতে চান না। ওকালতনামাতেও উনি সই করতে চান না। তিনি জানিয়েছেন, চার্জশিট পেশ হলেই তিনি আইনের পথে মৃত্যুকেই বেছে নিতে চান। এ-কথা শোনার পরই বিচারক অভিযুক্তকে এজলাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-ডুপ্লিকেট এপিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, কমিশনকে দূষে বাতিলের দাবি তৃণমূলের
প্রসূন দে-কে আনা হলে বিচারক তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কোনও আইনজীবী চান? জবাবে প্রসূন ‘না’ বলেন। বিচারক বলেন, এর জন্য আপনাকে কোনও খরচ দিতে হবে না। কিন্তু অনড় প্রসূন জানিয়ে দেন তিনি আইনজীবী রাখতে আগ্রহী নন। বিচারক বলেন, আপনার কিছু বলার আছে? জবাবে তিনি বলেন ‘না’। এরপর বিচারক তাঁকে বলেন, আপনাকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না, পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে সোমবার ট্যাংরা থানায় জেরায় তিনি হাতের শিরা ও গলার নলি কেটে স্ত্রী ও বউদিকে খুনের কথা স্বীকার করেন। জেরায় তিনি বলেন, দুই বউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পরই প্রসূন তাঁদের হাতের শিরা কেটে দেন। তারপর গলার নলিও কাটেন। যাতে তাঁরা আওয়াজ না করতে পারেন তার জন্য বালিশ দিয়ে মুখ চাপা দেন। বাড়ির মহিলাদের মেরে আত্মহত্যার জন্য রাতে গাড়িতে দাদা ও ভাইপোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রসূন সুস্থ হয়ে ছাড়া পেলেও তাঁর দাদা প্রণয় দে ও প্রণয়ের ছেলে প্রতীপ দে এখনও এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক প্রসূন দে-কে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।