রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উঠল ট্যাঙ্কার ধর্মঘট। বাতিল হল নয়া টেন্ডার। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। পরে আলোচনার মাধ্যমে নতুন টেন্ডার পেশ করা হবে। ফলে শনিবার রাত থেকেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন পেট্রল পাম্পে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় কুণালের পিছু নিয়ে কারা চালাচ্ছিল নজরদারি? ভিডিও পোস্ট করে জানালেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক
অয়েল লোডিং এলাকা থেকে ইন্ডিয়ান অয়েলর পাম্পে তেল নিয়ে আসা ট্যাঙ্কারের নতুন দরপত্র চাওয়া হয়। সেখান থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। সেই দরপত্রে খরচের উপর রাশ টানা হয়। ট্যাঙ্কার মালিকরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই দরপত্র তাঁরা মানছেন না। অনড় থাকে আইওসি কর্তৃপক্ষও। জেদাজেদিতে বাড়ে জটিলতা। ট্যাঙ্কার মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে। পাম্পে তেলের ট্যাঙ্কার আসা বন্ধ হয়। আইওসির ২৪০টি আউটলেটে পেট্রল-ডিজেলের মজুত কমতে থাকে। অশনি সঙ্কেত দেখেন সকলেই।
আরও পড়ুন-আমরা সবাই মমতার পাশে আছি : কলকাতায় এসে বার্তা শাবানা আজমির
পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন পরিস্থিতি থেকে বের হতে শনিবার সকালেই মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয়। রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইওসি নতুন টেন্ডার বাতিলের কথা জানায়। তার কিছুক্ষণ পরেই ট্যাঙ্কার মালিকরা ধর্মঘট তুলে নেন। আপ লোডিং এলাকায় প্রচুর ট্যাঙ্কার লাইনে দাঁড়িয়ে। ফলে স্বাভাবিক হতে সন্ধে গড়িয়ে যাবে। পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে নয়া দরপত্র নিয়ে আলোচনা হবে।