প্রতিবেদন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেশে শীর্ষ স্থান অধিকার করবে এ রাজ্য। এই স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে চলতি মাসে হতে যাওয়া শিল্প সম্মেলন থেকেই। এবছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের ফোকাস হল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার। যে কারণে রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে আরও গতি আনতে রাজ্য সরকার ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
আরও পড়ুন-এক লাখের সুপারি, স্বীকার করল ধৃত
সেই লক্ষ্যে প্রায় ২০ হাজার ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীর হাত ধরে ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘটতে চলেছে যা খুব কম করেও ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেবে। আর ঠিক এক সপ্তাহ পর শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ২১ এবং ২২ নভেম্বর বসছে সেই বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশের কয়েক হাজার প্রতিনিধি সেখানে যোগ দেবেন। তাঁদের সামনে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পের দক্ষতা ও সম্ভাবনাগুলি তুলে ধরার পাশাপাশি এই খাতে আরও বিনিয়োগ টানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে রাজ্য। ক্ষুদ্র শিল্পের পরিকাঠামো আরও উন্নত করতেও উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বর্তমানে ক্ষুদ্র শিল্পের সাফল্যে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। এখন লক্ষ্য ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসা। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য রাজ্য সরকার হাতিয়ার করছে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডকে। এই কার্ডের মাধ্যমে বর্তমান এবং নতুন শিল্পোদ্যোগীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাঁরা যাতে কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দিতে পারেন সেই রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার আবেদনকারী ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেয়েছেন। নতুন করে আরও ১৭ হাজার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, এই সংখ্যা ২০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্যাঙ্কে বিশেষ শিবির চালাচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-প্রয়াত সাহারা গ্রুপের স্রষ্টা সুব্রত রায়
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে কার্যত ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই জোর দেওয়া হচ্ছে কর্মসংস্থানের ওপর। রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোগীদের আবেদনপত্র মঞ্জুর করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন বলেই জানা গিয়েছে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক-একজন শিল্পোদ্যোগী গড়ে আড়াই লক্ষ টাকা সহজ শর্তে ঋণ পাচ্ছেন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে। সেই নিরিখে মোট ২০ হাজার আবেদন মঞ্জুর হলে রাজ্যের এই শিল্পোদ্যোগীরা হাতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা পাবেন। সেই টাকা দিয়ে তাঁরা হয় নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, অথবা আগের পরিকাঠামো সংস্কার করবেন। এসব কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যকে দেশের ক্ষুদ্র শিল্পের মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করবে।