প্রতিবেদন : গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের পালাবদল নিয়ে অন্যদের মতোই বিদেশে বসে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দীর্ঘ কয়েক দশক দেশান্তরী এই লেখিকা এই মুহূর্তে তাঁর নিজের দেশের রাজনৈতিক ডামাডোল ও দোদুল্যমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় হতাশ। বিশেষত, কট্টর হাসিনা-বিরোধী যে মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে, তিনি আদৌ সেই পদের যোগ্য কি না, সংশয়ী তসলিমা। প্রবাস থেকেই ক্ষোভ উগরে এনিয়ে তিনি বিদ্ধ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার ও তাঁর প্রধানকে।
আরও পড়ুন-ড্র দিয়ে শুরু মানোলো-যুগ
বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন,‘প্রফেসর ইউনুস যদিও নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন এবং আরও হাজারো বিদেশি পুরস্কার পেয়েছেন, যদিও আমেরিকার সরকার ইউনুসকে খুব সম্মান করেন; আমার কিন্তু ইউনুসকে খুব একস্ট্রাঅর্ডিনারি মানুষ বলে মনে হয়নি কখনও। চালাক মনে হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত বা জ্ঞানী মনে হয়নি। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল তিনি যেহেতু সেক্যুলার ইউরোপে ঘোরাঘুরি করেছেন অনেক, নারীবাদী আর মানবাধিকারবাদী সেক্যুলার নেতাদের সান্নিধ্যে এসেছেন, সেহেতু তিনি সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করেন, নারীর সমান অধিকার আর মানবাধিকারে বিশ্বাস করেন, এবং এসবই তিনি দেশে প্রতিষ্ঠা করবেন, জীবনের শেষ বয়সে দেশের জন্য ভাল কিছু করে যাবেন’।
আরও পড়ুন-১০ সেকেন্ডে নরহরির গোল, জিতল ডায়মন্ড হারবার
তসলিমার কথায়,‘‘ভেবেছিলাম দেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার, তাও আবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার, বিজয়ী হিসেবে, তিনি দেশে শান্তির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালীন দেশ অশান্তির আগুনে পুড়ল, দেশে অশান্তির ধ্বংসযজ্ঞ চলল, তিনি এসব বন্ধ করার কোনও চেষ্টাই করলেন না, উল্টে তিনি বীভৎসতাকে বিজয় বললেন, অশান্তিকে শান্তি বললেন, উন্মত্ততাকে উৎসব বললেন। ইসলামি মৌলবাদীদের সঙ্গে তিনি একাকার হয়ে গেলেন। ওরাই আসলে তাঁর উপদেষ্টা। এবং তিনি তাদের আদেশ বা উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন।’