প্রতিবেদন : উৎসবের মুখে একসঙ্গে একরাশ সুখবর রাজ্যের শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবারই রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি জানা গিয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-ব্যাপমে যারা যুক্ত শুনতে হবে তাদের মুখে নীতিজ্ঞান?
সূত্রের খবর, পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করতে পুজোর আগেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পর্ষদের সভাপতি। এদিকে উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলেছে জোরকদমে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের তালিকা পাঠানোর জন্য প্রতিটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শককে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। আট বছর পর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে চলেছে। ফলে শূন্যপদের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের আশু সম্ভাবনা রয়েছে বলে শিক্ষা মহলের অভিমত।
আরও পড়ুন-‘গোলি মারো শালোকো’ এত দ্রুত ভুলে গেলেন কী করে বিবেকবাবুরা?
আবার এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে১৮৫ জনকে চাকরি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগে হাসি ফুটেছে ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের পরিবারের মুখে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মিলে যেভাবে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তা মা দুর্গার আশীর্বাদের থেকে কম কিছু নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন-আসানসোলে কারখানার ভিতর চলল গুলি, মৃত নিরাপত্তারক্ষী
এদিকে শুক্রবার কোচবিহারের ববিতা সরকারের পর এবার প্রিয়াঙ্কা সাউ নামে এক চাকরিপ্রার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন, পুজোর আগেই যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে, এঁরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, আজই বৈঠক করে আদালতকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে।