উত্তর প্রদেশের (UttarPradesh) স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ শারীরিক শিক্ষা স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২২-এর সাথে সম্পর্কিত জাল শারীরিক শিক্ষা স্নাতক (বি পিইড) ডিগ্রির একটি বিশাল কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছে। ২০৩ জন নিযুক্ত প্রার্থীর মধ্যে ২০২ জনই শিকোহাবাদের জেএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৈরী করা জাল মার্কশিট ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসওজি এএসপি ধর্মরাম গিলা এই গোটা তদন্তের নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার লগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তদন্তে জানা গিয়েছে, জেএস বিশ্ববিদ্যালয় বি.পি.এড কোর্সে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মাত্র ১০০টি আসনের জন্য স্বীকৃত, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি উল্লেখ করে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছেন ২০৮২ জন প্রার্থী। এই বিশাল অসঙ্গতি প্রকাশ্যে এলেই শুরু হয় তদন্ত। ২৫ জন প্রার্থী দাবি করেছেন যে তারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বি পিইড কোর্স শেষ করেছেন কিন্তু যাচাইয়ের জন্য জেএস বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট জমা দিয়েছেন। ৯ জন ব্যক্তি সম্পূর্ণ জাল মার্কশিট জমা দেয়। ৪৩ জন প্রার্থী ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি জমা দিয়েছিলেন, যদিও পরীক্ষাটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে হয়। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ঠিক কিভাবে দুর্নীতির বাসা বেঁধেছে রাজ্য জুড়েই।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশন কি বিজেপির তল্পিবাহক!
২০৩টি মার্কশিটের মধ্যে, শুধুমাত্র প্রেম সিংয়ের ছেলে কুলরাজ সিংয়ের মার্কশিট আসল বলে দেখা গিয়েছে। এসওজি জাল মার্কশিট তৈরি ও বিতরণে দালালদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জেএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ব্যাকআপ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি প্রিন্টিং ডেটা গোটা কারসাজির বিষয়টি আরও সুনিশ্চিত করেছে। জেএস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জড়িত ১৬৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে তদন্তকারীরা। ১৬৬ থেকে ২০২ নম্বরের ক্রমিক নম্বরের তালিকাভুক্ত আরও ৩৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পূর্ববর্তী মামলায় ডামি প্রার্থী পাঠানোর অথবা জাল নথি ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।