প্রতিবেদন : এসটি, জিটি পাশ করে তাঁরা দীর্ঘদিন চাকরির প্রত্যাশায় বসে আছেন। চাকরি জোটেনি। পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা একাধিকবার দাবি করেছেন পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। দাবি অধরাই থেকে গিয়েছে। ত্রিপুরায় শিক্ষকপদে নিয়োগ না পেয়ে যোগ্য প্রার্থীরা বিজেপি সরকারের কাছে বারবার জানতে চেয়েছেন, কেন নিয়োগ হচ্ছে না? কেন তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না? সদুত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার কীর্তি, চেয়ার ছুঁড়লেন বিডিওকে
উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা একাধিকবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। তাতেও লাভ হয়নি। তাই সোমবার এসটি, জিটি উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে। শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই তাঁরা নিজেদের দাবিগুলি জানাচ্ছিলেন। সেইসময় ছাত্রদের উপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের পুলিশ। পুলিশের নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি কিডনি বিকল থাকা ছাত্রও। তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, গর্ভবতী ছাত্রীর পিঠেও পড়েছে লাঠির বাড়ি। এই অসহায় ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-গ্রাম-শহরের অর্থনীতির মেলবন্ধন
সোমবার দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিগৃহীত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অভিযোগ, রাতারাতি কর্মচ্যুত ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বরং ওই শিক্ষকরা চাকরি চাইতে গেলে পুলিশ তাঁদের উপর আক্রমণের বুলডোজার চালাচ্ছে। ত্রিপুরায় কেমন সুশাসন চলছে সেটা এখন সবাই জেনে গিয়েছে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের চাকরি, তালিকা প্রকাশ বা নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া দূরে থাক বরং তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ত্রিপুরায় চলছে স্বৈরতন্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকার। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের আইনি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সব ধরনের সাহায্য করবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছেন।