প্রতিবেদন : সন্তোষ ট্রফি জিতে শহরে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলা দলের ২২ জন ফুটবলারের জন্য চাকরি ঘোষণা করে ফুটবলারদের হৃদয় জিতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ফাইনালের নায়ক টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি হাঁসদা পূর্ব বর্ধমানের অখ্যাত মশারু গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলে। বাবা নেই। বড় ক্লাব না পাওয়া রবির একটা চাকরি খুব দরকার ছিল। বলছিলেন, ‘‘ট্রফি জেতার পর এত তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবার জন্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, কল্পনাও করতে পারিনি। এবার আমি নিশ্চিন্তে ফুটবল খেলতে পারব।’’ ডায়মন্ড হারবার এফসি-র ফুটবলার নরহরি শ্রেষ্ঠাও নিয়মিত সন্তোষে গোল করেছেন। নরহরি সিনিয়র হলেও চাকরি ছিল না তাঁরও।
আরও পড়ুন-টেস্ট নেতৃত্বে ফের বিরাট, তুঙ্গে জল্পনা
তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার মনে হয়, এতে আগামী দিনে আরও অনেকেই সন্তোষে খেলার জন্য উৎসাহিত হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে নজিরবিহীন বলছেন বাংলাকে আট বছর পর সন্তোষ ট্রফি জেতানো কোচ সঞ্জয় সেন। বলছেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, আমাদের উনি উৎসাহ দেবেন, পুরস্কৃত করবেন, সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন তা ভাবা যায় না। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। ট্রফি জিতে শহরে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটা দলের সব ফুটবলারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী! না, কখনও এই জিনিস কেউ দেখেনি। আমরা কৃতজ্ঞ, সশ্রদ্ধ প্রণাম ওনাকে।’’ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বললেন, ‘‘এটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব। উনি বাংলার ফুটবলকে অনেকটা এগিয়ে দিলেন।’’