নাইট ম্যাচে আজ শ্রেয়সরাই ধন্দে

মোহালির থেকে ছোট মুল্লানপুরের মাঠ। একটু বেশি চার-ছয় হতে পরে। না হলে বাকি সব মোহালির মতো। বল সিম করবে। সিমাররা সুবিধা পাবে।

Must read

মুল্লানপুর, ১৪ এপ্রিল : মোহালির থেকে ছোট মুল্লানপুরের মাঠ। একটু বেশি চার-ছয় হতে পরে। না হলে বাকি সব মোহালির মতো। বল সিম করবে। সিমাররা সুবিধা পাবে। রাতের দিকে শিশির হয়তো সমস্যা করবে। এটাই পরিচিত ছবি এই মাঠের।
কিন্তু পরিচিত আবহের সামান্য বদল হয়েছে এবার। উইকেট ব্যাটারদের পাশে থাকছে। এখানে এবার যে দুটো ম্যাচ হয়েছে তাতে প্রথমে ব্যাট করা দল ২০০ প্লাস রান করেছে। ফলে এমন উইকেটে কেকেআর যদি বড় রান তুলে দিতে পারে তাহলে সেই রান চেজ করা কঠিন হবে পাঞ্জাবের। আবার রিকি পন্টিংরা যদি এখন ঘূর্ণি উইকেট চান, সেটাও বুমেরাং হতে পারে তাঁদের জন্য। এদিকে, পাঞ্জাবের সেরা বোলার লকি ফার্গুসন চোটের জন্য কার্যত টুর্নামেন্টেরই বাইরে চলে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন-মৃত্যুর রাজনীতি করছে বিজেপি, আম্বেদকর জয়ন্তীতে তোপ তৃণমূলের

তাই মুল্লানপুরের মাঠ ও পরিবেশের মতিগতি বুঝে নিতে রবি, সোম, দুটো দিনই সন্ধায় প্র্যাকটিস করল কেকেআর। বল কেমন করে সেটা দেখার ছিল। সাধারণত টানা প্র্যাকটিস চললে মাঝে এক-আধটা দিন অপশনাল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু পাঞ্জাব কিংস ম্যাচের আগে সেটা করেনি কেকেআর।
দু’দিনের টানা প্র্যাকটিসের নির্যাস এটাই, নাইটরা এই ম্যাচে বাড়তি সিমার খেলাতে পারে। পাঞ্জাবে খেলা থাকলে যা পরিচিত দৃশ্য। এখানে উইকেট আর কন্ডিশন সিম বোলিংয়ের জন্য আদর্শ। যদি না তড়িঘড়ি সবকিছু বদলে দেওয়া হয়। আন্দ্রে নরখিয়ার নাম ভাসছে। এখনও কেকেআরের হয়ে অভিষেক হয়নি আফ্রিকান ফাস্ট বোলারের। কিন্তু এখানে নেটে যেভাবে ১৪০ কিমিতে বল করলেন তাতে মঙ্গলবার তিনি প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেন।
পাঞ্জাব আগের ম্যাচে ২৪৫/৬ করেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে। কিন্তু সেই ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার যেভাবে ব্যাট করেছেন তাতে নাইটদের জন্য চিন্তা থাকছে। শ্রেয়সকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে না পারলে দুর্ভোগ আছে কেকেআরের। কিন্তু প্রভশিমরন সিং এর প্রিয়াশ আর্য্যও দারুণ ফর্মে আছেন। সবমিলিয়ে পাঞ্জাবের টপ অর্ডার কিন্তু চিন্তার কারণ নাইটদের।
তবে নাইটরাও তাদের আগের ম্যাচে সিএসকেকে দাঁড় করিয়ে হারিয়েছে। কিন্তু সেই জয়ের দুই কান্ডারি নারিন আর বরুণ এখানে চিপকের মতো সুবিধা পাবেন না। বরং দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ভরসায় থাকবে হর্ষিত, বৈভবের দিকে। কেকেআরের সুবিধা হল স্পিনারদের ব্যক আপ হিসাবে দুই সিমারও বেশ ভাল কাজ করছেন। হর্ষিতদের হয়তো আজ একটু বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। চেন্নাইতে ঘরের ছেলে বরুণের ইনপুট খুব কাজে দিয়েছিল। স্থানীয় ছেলে রামনদীপ এখানে সেই কাজটাই করতে পারেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসে বলেন, ঘরের মাঠে খেলার আনন্দই আলাদা।

আরও পড়ুন-চোরের বদলে বিচারকের বাড়িতেই হানা পুলিশের! যোগী প্রশাসনের কীর্তিতে হতবাক আদালত

ডি’কক প্রথম ম্যাচে রান করার পর আর রান পাননি। কিন্তু নারিন রান করে দেওয়ায় চাপ আসছে না। রাহানে তিনে নেমে দলকে ভরসা দিচ্ছেন। কেকেআর টপ অর্ডারের মতো পাঞ্জাবের টপ অর্ডারও বেশ ভারী। মঙ্গলবার শ্রেয়সের জবাবের ম্যাচ। কেকেআর তাঁকে চাহিদা মতো টাকা দিতে রাজি হয়নি। ফলে নিলামে গিয়ে পাঞ্জাব দলকে পেয়েছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক।
আজ পয়লা বৈশাখ। নববর্ষের উপহার দেওয়ার এই সুযোগ। দলে বাঙালি ক্রিকেটার না থাকুক, আবেগ অবশ্যই ঘিরে আছে। নাইটরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না।

Latest article