হরিহরপাড়ার পলাশ এবং কুণ্ডিরার সুজয়কে ঘিরে চোখের জল, বাঙালি শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা

গান স্যালুট দেওয়া হল শহিদ বাঙালি জওয়ানকে। সুজয় ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন প্যারা কম্যান্ডো হিসেবে। মাত্র ৭ বছরেই সুজয়ের জীবনে দাঁড়ি পড়ে গেল।

Must read

প্রতিবেদন : ছুটি শেষে পঞ্চমীতেই কাশ্মীরে ফিরেছিলেন সেনার এলিট প্যারা-৭ স্পেশাল ফোর্সের হাবিলদার পলাশ ঘোষ। স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন, ফের ছুটিতে এলে ঘুরতে নিয়ে যাবেন কোনও সৈকত শহরে। বদলে এল কফিনে ঢাকা স্বামীর দেহ। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার মানুষের চোখে জল। দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে নির্বাক হয়ে গিয়েছেন স্ত্রী বুল্টি। বাবা প্রশান্ত আর মা আদরি ঘরের কোণে ডুকরে কেঁদে চলেছেন। বলছেন, দেশ আমার ছেলেকে শহিদ বলবে। তা গর্বের। কিন্তু আমার কোল তো ফাঁকা হয়ে গেল। বাড়িতে উপচে পড়েছে ভিড়। সেনার সহকর্মীরা থেকে দাদা-বউদি— সকলেই শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চোখের জলে। ২০০৮-এ সেনায় যোগ দিয়েছিলেন পলাশ। মৃত্যুতে দাঁড়ি পড়ল ১৭ বছরের কর্মজীবনের।
হরিহরপাড়ার মতোই একই চিত্র বীরভূমের কুণ্ডিরা গ্রামের। আর এক বাঙালি জওয়ান সুজয় ঘোষের দেহ এল জনস্রোতের মধ্য দিয়ে। জেলাশাসক থেকে জেলা সভাধিপতি, বিধায়ক— সকলে শেষশ্রদ্ধা জানালেন। গান স্যালুট দেওয়া হল শহিদ বাঙালি জওয়ানকে। সুজয় ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন প্যারা কম্যান্ডো হিসেবে। মাত্র ৭ বছরেই সুজয়ের জীবনে দাঁড়ি পড়ে গেল।

আরও পড়ুন-ভারতেও তালিবানি ফতোয়া! মহিলা সাংবাদিক প্রবেশে না, কড়া জবাব তৃণমূলের

লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে পাক-জঙ্গি অপারেশনের সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান সুজয় ও পলাশ। সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, কিশতোয়ার রেঞ্জে পাহাড়ি এলাকায় পাক-জঙ্গিরা রয়েছে। তুষারপাতে পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। অন্যরা ফিরে এলেও পলাশ ও সুজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।

Latest article