প্রতিবেদন: সিনেমার দৃশ্যই ৬ বছরের বোনকে নৃশংসভাবে খুন করতে প্ররোচিত করল ১৩ বছরের কিশোরকে। ইন্ধন জোগাল বোনের উপর দাদার হিংসা চরিতার্থ করতে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘরে। খুড়তুতো বোনকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই কিশোর। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে দেয় তার। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, হিন্দি ছবি ‘রমন রাঘব’ দেখেই বোনকে খুনের প্লট সাজিয়েছে কিশোর। তাকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-না জানিয়েই মোছা হচ্ছে পোস্ট, কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? একটা অদ্ভুত ধারণার বশবর্তী হয়ে ছোট্ট বোনকে খুন করে বসে কিশোরটি। তার বিশ্বাস ছিল, বাড়ির কেউই তাকে ভালবাসে না। সব স্নেহ, আদর শুধুমাত্র বোনেরই জন্য। এই বিশ্বাস থেকেই বোনের উপর ঈর্ষায় ভুগত সে। হিংসাটা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বোনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। বোনকে নৃশংসভাবে খুন করে তার দেহ ফেলে দিয়ে আসে শ্রীরামনগর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায়।
শনিবার সন্ধ্যায় আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ৬ বছরের নাবালিকাটি। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার পরে তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখে, মেয়েটিকে কোথাও একটা নিয়ে যাচ্ছে ছেলেটি। সে প্রথমে পুলিশের কাছে কিছুই স্বীকার করতে চায়নি। পরে ভেঙে পড়ে জেরার চাপে। বলে দেয় সবকিছু। তার অকপট স্বীকারোক্তি, বোনের উপরে হিংসা থেকেই খুন চেপে গিয়েছিল তার মাথায়। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ শ্রীরামনগর পাহাড় থেকে উদ্ধার
করা হয় ৬ বছরের শিশুটির মুখ থেঁতলানো দেহ।