প্রতিবেদন : প্রান্তিক এলাকার মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ দিতে রাজ্য জুড়ে আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বাড়ির কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন তাঁরা। বর্তমানে রাজ্যে ৬ হাজার ৬৮০টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৭৮০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৪৫০টি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন-পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি পুতিনের, নিন্দা আমেরিকার
টেলিমেডিসিন পরিষেবায় আগেই দেশ সেরার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য সরকারের টেলিমেডিসিন পরিষেবা ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিতে’র উপভোক্তার সংখ্যা ইতিমধ্যে এক কোটি ছাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প টেলিমেডিসিন। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’।
অতিমারির সময়ে সবসময় ডাক্তার-রোগীর যোগাযোগ ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। এই সময়েই জনগণের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য ভবন চালু করে ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্প। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে তৈরি হওয়া ৬৮টি টেলিমেডিসিন হাবের মাধ্যমে ৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক গ্রামীণ এলাকার মানুষদের এই দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন। জেনারেল মেডিসিন, প্রসূতি রোগবিদ্যা, শিশুরোগ, চর্মরোগ, চক্ষুরোগ, মানসিক রোগ, নাক-কান-গলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবা আগেই শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাও স্বাস্থ্যভবন করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে দেখা যাবে না খবর! এপ্রিল থেকে বন্ধ করছে মেটা
তাতে মানুষ যেমন উপকৃত হয়েছেন, তেমনই বেড়েছে টেলি মেডিসিনের চাহিদা। এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির অধীনে থাকা ১ হাজার ২৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগামী সপ্তাহেই হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা বা স্মার্ট হেলথ কেয়ার সিস্টেম চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।