ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের মামলায় যা বলার সিবিআইকে বলুন

বাম-রামের মিলিত চক্রান্তে বহিরাগতদের দিয়ে তাণ্ডব

Must read

প্রতিবেদন : বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar) ভয়াবহ ধ্বংসলীলা চালানোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজভবনের গেটের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাম-রামের মিলিত চক্রান্তে বহিরাগতদের দিয়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কোনও দোষ নেই বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আরজি করে (R G Kar) এমার্জেন্সি-সহ তিনটি ফ্লোর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একের পর এক মেশিন ভাঙা হয়েছে। ওষুধ লোপাট করা হয়েছে। অনেক টাকার পরিকাঠামো নষ্ট করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে অনেক রোগীর পরিবার তাঁদের পেশেন্টকে রাখতে চাইছেন না। তাঁরা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা সাহায্য করব। পুলিশের পোশাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের উপর জঘন্যভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। অনেকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। পুজোর সময় গোটা রাজ্য জুড়ে এরাই তো আমাদের নিরাপত্তা দেয়। পুলিশকে কেন মারধর করা হল? তারা তো কিছু করেনি।

আরও পড়ুন- আজ পথে জননেত্রী

আরজি করের ঘটনার পর তারা ফরেনসিক টেস্ট করিয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে এসেছে। ৩৪ জনকে ডেকে কথা বলেছে। সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট মৃতার বাবা-মাকে দেখিয়ে আসা হয়েছে। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। এখন যদি কারও কিছু বলার থাকে কোর্টে বা সিবিআইকে বলুক। আমাদের সাহায্য করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
বুধবার রাতে জমায়েতের পর আচমকাই আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা ঘটনায় হতভম্ব সকলেই। ওই মাঝরাতেই সিপিকে ফোন করে রং না দেখে এই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের অনুরোধ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সব কিছুকে ছাপিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চায় এখন শুধু আরজি করের ধ্বংসলীলার ভাইরাল হওয়া ভিডিও ছবি। বাম-রামের এই ঘৃণ্য চক্রান্ত প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন পিঠ বাঁচাতে নানা সাফাই গাইছে তারা।

Latest article