প্রতিবেদন : প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাটরায় বুধবার বৈষ্ণোদেবী তীর্থযাত্রার পথে অর্ধকুমারীর কাছে একটি বিশাল ভূমিধসে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং আহত বহু। উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুণ্যার্থীদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই শহরে খুলছে রুফটপ রেস্তরাঁ, থাকছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা
লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীর পথে অর্ধকুমারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ে ভূমিধসের ঘটনা অত্যন্ত যন্ত্রণার। এই প্রাকৃতির বিপর্যয়ে প্রিয় মানুষদের হারানো পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও আটকে পড়াদের নিরাপত্তার প্রার্থনা করি।’জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস। জম্মুতে সেতু ভেঙে পড়েছে এবং বিদ্যুতের লাইন ও মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩,৫০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেলা ১১-৩০ থেকে বিকেল ৫-৩০, মাত্র ছ-ঘণ্টায় ২২ সেমি বৃষ্টি হয়েছে, যা রেকর্ড। তবে, মধ্যরাতের পর বৃষ্টি কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে আরেকটি ভূমিধসে মন্দিরের পথে ন-জন নিহত এবং ২১ জন আহত হন। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স হ্যান্ডেলে জানান, প্রবল বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেশ কিছু পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় তিনি ‘প্রায় অস্তিত্বহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা’ নিয়ে এখনও লড়াই করছেন। কোনও ফিক্সড লাইন ওয়াইফাই নেই, কোনও ব্রাউজিং নেই এবং অ্যাপগুলি বিরক্তিকরভাবে ধীরে খুলছে। জেলা প্রশাসন, জেকে পুলিশ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের যৌথ দল উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চালাচ্ছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর জলস্তর সঙ্গমের কাছে বিপদসীমা ২২ ফুট অতিক্রম করায় বন্যা-সতর্কতা জারি করা হয়েছে।