প্রতিবেদন : অভূতপূর্ব জলের সঙ্কটে নাজেহাল দেশের প্রযুক্তি-রাজধানী বেঙ্গালুরু। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, শহরে এক বালতি জল কিনতে হচ্ছে ২০০০ টাকায়। বাসন ধোয়ার জল নেই, তাই থালা-বাটি-গ্লাস-চামচ ব্যবহার আপাতত বন্ধ বহু জায়গায়। খাওয়ার সময় ভরসা বলতে থার্মোকলের প্লেট, বাটি আর প্লাস্টিকের গ্লাস। কেউ কেউ আবার খেয়ে কুলকুচিও করছেন না।
আরও পড়ুন-সাইবার ফাঁদ রুখতে চালু হল কেন্দ্রের নয়া পোর্টাল
ব্যবহার করছেন ভিজে টিস্যুপেপার। স্নান করতে গেলে রান্নার জল নেই, রান্না করতে গেলে পান করার জল নেই। তাই গাড়ি ধোয়া মানা। বন্ধ সুইমিং পুল। কিন্তু লোকে অভিযোগ জানাবেন কার কাছে? কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারই বলছেন, আমার বাড়ির নলকূপই শুকিয়ে গিয়েছে। সত্যিই তাই। এই অত্যাধুনিক শহর এবং তার আশপাশের টিউবওয়েল শুকিয়ে কাঠ। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা আবাসনগুলোর। আবাসনের পরিচালক কমিটিগুলি জলের রেশনিং শুরু করে রীতিমতো হুলিয়া জারি করেছে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে অপচয় তো বরদাস্ত করা হবে না কোনওমতেই, উপরন্তু জলের ব্যবহার অন্তত ২০ শতাংশ না কমালে ফ্ল্যাট মালিককে গুনতে হবে ৫০০০ টাকা জরিমানা। জলের সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই চালু করে দিয়েছে অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাস। জলের অভাবের মুখে হাত তুলে দিয়েছে পুরসভা। ট্যাঙ্ক পাঠালেও তা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু গরমের শুরুতেই এমন জলের আকালের কারণটা কী? সমস্যার শুরু ২০২৩-এ পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি এখানে।