মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমত সময় নিয়ে নাম-পরিচয় জেনে ‘টার্গেট কিলিং’ করেছে ২৮ জনকে। হামলার দায় ইতিমধ্যেই স্বীকার TRF জঙ্গি গোষ্ঠীর। একাধিক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ভূস্বর্গ রক্তের ছাপে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। মাত্র ছ’দিন হয়েছে বিয়ে করেছিলেন ভারতীয় নৌ-সেনার এক অফিসার। হানিমুনে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন কাশ্মীর। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল তাঁর। কর্মসূত্রে কেরলের কোচিতে থাকতেন এই নৌ-সেনা অফিসার।
আরও পড়ুন-জঙ্গি হানার মাস্টারমাইন্ড শীর্ষ লস্কর কমান্ডার সইফুল্লা কসুরি?
জানা গিয়েছে, নিহত অফিসারের নাম বিনয় নরওয়াল (২৬)। গত ১৬ এপ্রিল বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন। এদিনের ঘটনায় বিনয় ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর বিনয় নরওয়াল ছিলেন হরিয়ানার কর্ণালের একজন ২৬ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট। বিনয় নরওয়াল ১৬ এপ্রিল বিয়ে করেন, এরপর ১৯ এপ্রিল তার বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কোচিতে কর্মরত নরওয়াল বর্তমানে ছুটিতে ছিলেন এবং ছুটি কাটাতে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। তিনি দুই বছর আগে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই নরওয়ালের মৃত্যুতে তার পরিবার এবং বন্ধুরা মর্মাহত, এবং তার গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলার উঠে এসেছে বেশ কিছু হৃদয়বিদারক বিবরণ। সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের হত্যা করার আগে একটি ইসলামিক আয়াত পাঠ করতে বলেছিল, না পারলে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়। পুনের একজন ব্যবসায়ী, ৫৪ বছর বয়সী সন্তোষ জগদালেকে একটি ইসলামিক আয়াত পাঠ করতে বলা হয়েছিল এবং তিনি যখন তা করতে পারেননি তখন সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে আশাভরি জগদালে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানান চোখের সামনে সন্তোষকে তিনবার গুলি করা হয়েছে, একবার মাথায়, তারপর কানের পিছনে এবং তারপর তার পিঠে। এই নৃশংস হামলায় কাশ্মীর উপত্যকায় ছুটি কাটাতে আসা বহু নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশজুড়েই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র।