প্রতিবেদন : বহিষ্কারের মুখে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটোঙ্গটার্ন (Paetongtarn Shinawatra) শিনাবাত্রাকে সাসপেন্ড করল সেদেশের সাংবিধানিক কোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে আদালতে বিচার শুরু হয়। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, আদালত জানিয়েছে, শিনাবাত্রাকে (Paetongtarn Shinawatra) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াও হতে পারে।
একটি ফোন কল ফাঁস হওয়ার সূত্রেই যাবতীয় বিতর্ক শুরু। কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় শিনাবাত্রাকে। সেই ফোন কলে হুন সেনকে আঙ্কল বলে সম্বোধন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর থেকেই থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব। ফাঁস হওয়া ফোন কলে শিনাবাত্রা কেন কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ‘আঙ্কল’ বলে সম্বোধন করলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। ২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও সেদেশে এখনও হুনের ব্যাপক প্রভাব আছে। গত মাসে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটে। সেই আবহে হুন ও শিনাবাত্রার ফোন কল ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তাইল্যান্ডে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুধু বিরোধীরা নয়, নিজের দলের আইনপ্রণেতাদেরও প্রশ্নের মুখে পড়েন শিনাবাত্রা। দিন দশেক আগেই তাইল্যান্ডের শিনাবাত্রার নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ছাড়ে সে দেশের অন্যতম প্রধান দল রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শিনাবাত্রার অপসারণের দাবিতে দেশ জুড়ে নানা জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভও শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর প্রোটোকল লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক কোর্টের দ্বারস্থ হন সেদেশের কয়েকজন সিনেটর। ক্ষমা চেয়েও পার পাননি পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রা।
নীতি লঙ্ঘনের দায়ে বহিষ্কারের মুখে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শিনাবাত্রা, ফোনকল ফাঁস হতেই শুরু বিতর্ক
