প্রতিবেদন : মা-এর জন্য রক্তদান। মায়ের পুজোর আগে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র উদ্যোগে মানুষের পুজো শুরু। একই সঙ্গে চার হাজার মানুষ রক্তদান করেছেন এমন রেকর্ড ভূ-ভারতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে রেকর্ড রক্তদান শিবির করে দেখাল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। সেইসঙ্গে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বাংলার দুর্গাপুজোয়। বাংলার সমস্ত দুর্গাপুজো কমিটি ও ক্লাবগুলিকে এক জায়গায় এনে এই বিরাট কর্মযজ্ঞের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে মা-এর জন্য রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ না নিলে আমরা এত বড় জায়গা পেতাম না। এই বিরাট উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে। আমরা চাইব শুধু গিনেস বুক নয়, ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করুক এই রক্তদান শিবির। রক্তদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্ত প্রমুখ বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন-মোদির ১১ বছরে কৃষকদের ভাঁওতা
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব অত্যন্ত সুন্দরভাবে সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে। শুধু দুর্গাপুজোই নয়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সমাজসেবাকে যে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পথ অনুসরণ করে, অত্যন্ত ভাল পরিবেশে এই রক্তদান প্রত্যেকবার নিজের রেকর্ড ভেঙে চলেছে। কুণাল বলেন, এতটাই বৃহৎ আয়োজন যে, নেতাজি ইন্ডোরে সংস্থান হচ্ছে না। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও ব্যবস্থাপনা হয়েছে। উত্তর বনাম দক্ষিণ সুস্থ প্রতিযোগিতার আবহে রক্তদান ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সব রেকর্ডকে। এই ঐতিহাসিক রক্তদান শিবিরে জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে স্থান করে দিয়েছে কার্নিভালের আঙ্গিকে। এছাড়াও বাংলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে উচ্চে তুলে ধরেছেন। তাঁর পরিকল্পনাতেই ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সারা বছর নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে চলে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, চার হাজার রক্তদান মানে ১৬ হাজার মানুষ বেনিফিট পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য এই কাজটি করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বেহালার পুকুরে উদ্ধার সদ্যোজাতের দেহ
বারোয়ারি পুজায় মূলমন্ত্র হল সমাজসেবা। তার মধ্যে সব থেকে বড় কাজ হল রক্তদান। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উৎসব বাংলার দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজো এখন মানুষের প্রয়োজনে মানুষের জন্য। মন্ত্রী শশী পাঁজার কথায়, সবাই মিলে উপস্থিত থেকে যেভাবে রক্তদানের আয়োজন করা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই সম্ভব। সৃঞ্জয় বসু বলেন, এই রক্তদান শিবির মিলন উৎসবের মতো। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এত রক্তদান, ফোরাম ফর দুর্গোৎসবকে ধন্যবাদ। দেবাশিস দত্তের কথায়, এইভাবে রক্তদান ভাবা যায় না। এখানে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান আছে, বাংলার সকল মানুষ এক হয়েছে, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।