ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন মাইকিংয়ে সতর্কতা খোলা হয়েছে শিবির

সোমবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে সিকিমের পাহাড়ে। প্রবল এই বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকায় তিস্তা নদীর জলস্তর ক্রমশও বাড়ছে।

Must read

সংবাদদাতা জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি : সোমবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে সিকিমের পাহাড়ে। প্রবল এই বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকায় তিস্তা নদীর জলস্তর ক্রমশও বাড়ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস। পাশাপাশি অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে তোর্সা নদী সহ একাধিক নদীতে জল বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে তিস্তা ব্যারেজে জল ছাড়ার পরিমাণ খানিকটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৬২ কিউসেক। তবে প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিদের সতর্ক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় কোনও বিপদ সংকেত জারি করা হয়নি।

আরও পড়ুন-ডুয়ার্সের জঙ্গলে ৩ মাস নিষেধাজ্ঞা

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীগুলির পাড়ে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। উত্তরের পার্বত্য এলাকা ও সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদীর জল। গত কয়েকদিন ধরে রাতভর লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিস্তার জলস্তর বেড়ে রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে। সরকারিভাবে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে কালিম্পং থেকে দার্জিলিংগামী রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিকিমের পাশাপাশি ভুটান পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে। সকাল থেকেই মূর্তি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে। তিস্তা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত মালবাজারের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটগাঁও গ্রাম। রীতিমতো তিস্তার জল টোটগাঁও গ্রামের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন।

Latest article