সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : কোপাই নদী ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রতিবেশিনী, কবির সহচর। সেই কোপাইয়ের পাড় দখল হয়েছে কংক্রিটবিলাসে। এর প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও প্রাক্তনীরা শামিল হলেন কোপাইপাড়ে ‘আমাদের প্রতিবেশিনী কোপাই তাকে বাঁচাতে সবাই’ এই ব্যানার নিয়ে। খোয়াই সাহিত্য সংস্কৃতি সমিতির পক্ষে একশোর বেশি অধ্যাপক সমবেত হয়ে সই সংগ্রহ করছেন।
আরও পড়ুন-জোড়া সভায় চন্দ্রিমা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ মহিলা তৃণমূলের
এদিকে কোপাইকে বাঁচাতে মঙ্গলবার জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিভাগীয় বাস্তুকার, বিএলআরও, এসডিএলআরও, ময়ুরাক্ষী দক্ষিণ ক্যানেল-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন। জেলাশাসক কোপাই নদীর পাড়ে সমস্ত ধরনের নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ২০১৩-র কোপাই সংক্রান্ত একটি মামলার উল্লেখ করে জেলাশাসক জানান, ‘‘ওই মামলার প্রেক্ষিতে কোপাই সংলগ্ন ১১টি মৌজায় যে কোনও নির্মাণকাজ চালাতে নিষেধাজ্ঞা আছে। কোপাই নদীর কোনও পাড় নেই। তাই কেউ কেউ দাবি করছে যে রায়তি জায়গাতেই নির্মাণকাজ চলছে। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কোপাইকে বাঁচাতে প্রশাসন তৎপর। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদীপাড়ে সমস্ত নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নদীর অন্য পারেও যে রিসর্টগুলো আছে তাদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।’’ কোপাই নামকরণ রবীন্দ্রনাথের। শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ার কাছে কোপাইবক্ষে ইতিমধ্যে বহু পিলার গাঁথার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও প্রাক্তনীরা পথে নামেন। এই কাজে প্রশাসনের কোনও অনুমতি নেই৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নদীতীরের ৫০০ মিটার পর্যন্ত কোনও নির্মাণ করা যায় না৷