সুমন তালুকদার, বসিরহাট: আড়াইশো বছর আগের প্রাণচঞ্চল রাজবাড়ি এখন ভগ্নপ্রায়, আগাছায় ঢাকা। একদা ধান্যকুড়িয়ার ক্যাসল এবার তার পুরনো মর্যাদা ফিরে পেতে চলেছে। প্রাচীন রাজবাড়ির মর্যাদা আর ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখেই ৪ হেক্টর জায়গায় তৈরি হবে বায়োডাইভারসিটি পার্ক। জেলা প্রশাসনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পর্যটন মানচিত্রে উত্তর ২৪ পরগনার মান নিঃসন্দেহে বেড়ে যাবে, পাশাপাশি চাঙ্গা হবে গ্রাম্য অর্থনীতিও বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
আরও পড়ুন-ইডেন মাতিয়ে অকপট যশস্বী, মালিঙ্গাকে খেলতে পারলে ভাল লাগত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বাংলার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সব সময় সচেষ্ট। রাজ্যে পর্যটক সংখ্যা বাড়লে রাজ্যের মানোন্নয়নের পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতিও। ফলে রাজ্য সরকার জোর দিয়েছে পর্যটনের উপর। সেই লক্ষ্যেই আড়াইশো বছর আগে জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েনের ইউরোপীয় দুর্গের আদলে তৈরি রাজবাড়ি সংলগ্ন জমিতে বায়োডাইভারসিটি পার্ক গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় আছে ফার্ন, অর্কিড, ক্যাকটাস, বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ ও মেডিসিন প্ল্যান্ট দিয়ে উদ্যানটি সাজানো। সামনের পুকুর-সহ অন্য জলাশয়গুলি সংস্কার করে নানা প্রজাতির মাছ ছাড়া, বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলে আজ সলমন
সেই সঙ্গে শিশুউদ্যান, অ্যাকোয়ারিয়াম, ক্লোজ বাটারফ্লাই পার্ক তৈরি করে আকর্ষণ বাড়ানো। পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা-সহ বনাঞ্চলের মতো পাঁচটি কাঠের তৈরি কটেজের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যেখানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা থাকবে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বাংলার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করতে চান। তার জন্য পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। ধান্যকুড়িয়া রাজবাড়িতে বায়োপার্ক তৈরি হলে জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।’’